সোনাপুর ইউনিয়নবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন-মুহাম্মদ ছরোয়ার হোসেন


ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা গ্রামের কৃতি সন্তান বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক দু:খী মানুষের আস্থাভাজন মুহাম্মদ ছরোয়ার হোসেন সকলকে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
তিনি তার এক বার্তায় বলেন আমি সেবা করতে পছন্দ করি ও সেবা করতে আমার ভাল লাগে তাই গরীব দু:খী মানুষের পাশে থাকতে চাই। এক প্রশ্নের জবাবে দৈনিক ভোরের বার্তাকে বলেন এ সমাজে অনেক বৃত্তবান আছেন যদি সবাই গরীব দু:খীদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে মনে হয় অসহায় মানুষের দু:খ অনেকটা লাঘব করা সম্ভব। আসুন আপনার আমার পাশের দু:খী মানুষের মাঝে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই।
বাংলা নববর্ষের সূচনা সম্ভবত পহেলা বৈশাখে। পৃথিবীর প্রতিটি জাতিসত্তার কাছেই সেই জাতির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিগত নতুন বছরের সূচনাকে অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গেই দেখা হয়। বাঙালিরাও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। তাই পহেলা বৈশাখ বা নববর্ষ প্রতিটি বাঙালির জীবনে সংস্কৃতিসমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যমণ্ডিত একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন।
বাংলা নববর্ষ সুদীর্ঘকাল ধরে প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় বাঙালি সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের ধারক-বাহক এবং বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রধান উপাদান। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসারে, পাতাঝরা উষ্ণতম রসকষহীন মাস চৈত্রের বিদায়বার্তা বহনকারী চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈশাখের সূচনার মধ্য দিয়ে বাঙালি নতুন বছরকে আপন মনে বরণ করে নেয়।
বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামগঞ্জে, শহরে-বন্দরে নববর্ষ অত্যন্ত আনন্দণ্ডউল্লাসের সঙ্গে উদযাপিত হয়ে থাকে। শিশু-যুবা-বৃদ্ধসহ সব বয়সের সব শ্রেণি-পেশার সব সম্প্রদায়ের জনগণ এ উৎসবমুখর দিনটি অতি আগ্রহের সঙ্গে উদযাপন করে থাকে। এ উৎসবে প্রধান অনুষঙ্গ বৈশাখী মেলা। এ ছাড়া আমানি উৎসব, হালখাতা, গাজনের গান, গাঙ্গিখেলা, ঘোড়ার দৌড় ইত্যাদি গ্রামীণ অনুষ্ঠান বিভিন্ন অঞ্চলভেদে এখনো উদযাপিত হয়।
তবে অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তাদের মতে, বাংলা নবর্ষের সূচনা মুসলমানদের হাত ধরেই হয়েছিল এবং হিজরি সনের ওপর ভিত্তি করেই বাংলা সনের উৎপত্তি। সম্রাট আকবরের (১৫৫৬-১৬০৫ খ্রি.) শাসনামলে বাংলার কৃষকদের কাছ থেকে খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে হিজরি সনকে মূলভিত্তি ধরে প্রথম বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। ১৬১০ সালে যখন ঢাকাকে সর্বপ্রথম রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলা হয় তখন রাজস্ব আদায় আর ব্যবসা-বাণিজ্যের হিসাব-নিকাশ শুরু করার জন্য পহেলা বৈশাখকে সম্রাট আকবরের অনুকরণে সুবেদার ইসলাম খান চিশতি তার বাসভবনের সামনে সব প্রজার শুভ কামনা করে মিষ্টি বিতরণ এবং বৈশাখী উৎসব পালন করতেন।
তারই ধারাবাহিকতায় এই পহেলা বৈশাখ আজও আমাদের কাছে অতুলনীয় আনন্দের একটি দিন। তবে অন্য মতে, আমির ফতেহউল্লাহ সিরাজীর বাংলা সন প্রবর্তনের ভিত্তি ছিল শক বর্ষপঞ্জি বা শকাব্দ, সে পঞ্জিকা অনুসারে বাংলার ১২ মাস আগে থেকেই প্রচলিত ছিল। শক বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস ছিল চৈত্র মাস, কিন্তু ৯৬৩ হিজরিতে ফতেহউল্লাহ সিরাজীর বর্ষপঞ্জি সংস্করণের সময় চন্দ্র সনের প্রথম মাস মহররম ছিল বাংলার বৈশাখ মাসে, তাই তখন থেকেই বৈশাখকে বাংলা বছরের প্রথম মাস হিসেবে গণনা করা শুরু হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.