বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা-নিউজ ডেক্স
আবারও কি আসতে পারে কোভিড– ১৯ এর হানা ? বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা–কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা সি পট্টাভি জানিয়েছেন, রবিবার রাতে ভিয়েতনামের হ্যানয় থেকে কলকাতায় আসা যাত্রীদের চার জনের শরীরে কোভিড মিলেছে।
ব্যাঙ্কক থেকে আসা কোভিড আক্রান্ত যাত্রীর সংখ্যাই সব চেয়ে বেশি। বিদেশ থেকে কলকাতায় আসা যাত্রীদের মধ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত সাত দিনে সিঙ্গাপুর, ঢাকা, দুবাই, ব্যাঙ্কক থেকে আসা যাত্রীদের পরীক্ষা করে সেই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তবে, ব্যাঙ্কক থেকে আসা কোভিড আক্রান্ত যাত্রীর সংখ্যাই সব চেয়ে বেশি।
কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা সি পট্টাভি জানিয়েছেন, রবিবার রাতে ভিয়েতনামের হ্যানয় থেকে কলকাতায় আসা যাত্রীদের চার জনের শরীরে কোভিড মিলেছে। ওই দিনই ব্যাঙ্কক থেকে আসা দুই যাত্রীর দেহেও সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। এতেই দুশ্চিন্তা বাড়ছে রাজ্য ও কেন্দ্রের।
রাজ্যের স্বাস্থ্য-অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “বিমানবন্দরে আক্রান্তদের পাওয়া যাচ্ছে ঠিকই। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে আমাদের কিছু জানানো হয় না। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পোর্টাল থেকে জানতে পারি, কারা আক্রান্ত হয়েছেন।” পট্টাভি বলেন, “বিষয়টি দিল্লির সদর দফতরকে জানিয়েছি। সেখান থেকে বিমান পরিবহণ মন্ত্রক মারফত তা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে জানানো হচ্ছে।”
কোভিড নতুন করে মাথাচাড়া দেওয়ায় গত জানুয়ারিতে কেন্দ্র নির্দেশ দেয়, দেশের অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো কলকাতাতেও বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। তবে সমস্ত যাত্রীর নয়, প্রতিটি উড়ানে যত জন যাত্রী নামবেন, তাঁদের দুই শতাংশকে বেছে পরীক্ষা করতে হবে।
কলকাতায় এখন নিয়মিত দুবাই, আবুধাবি, দোহা, ব্যাঙ্কক, ঢাকা-সহ বেশ কয়েকটি বিদেশি শহর থেকে উড়ান আসে। প্রতিটি উড়ানের যাত্রীদের মধ্যে দুই শতাংশকে বেছে নিয়ে এই পরীক্ষা চলছে। গত ৬ এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০ জনের মধ্যে এই সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে।
যার মধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে আসা দু’জন, ঢাকা থেকে আসা তিন জন, দুবাই থেকে আসা আরও তিন জন রয়েছেন। তালিকার শীর্ষে রয়েছে ব্যাঙ্কক, মোট সাত জন। নবতম সংযোজন হ্যানয়।
বিদেশ থেকে আসা এই কোভিড আক্রান্তদের উপসর্গ তেমন কিছু নেই বলেই বিমানবন্দর থেকে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। তাঁদের নমুনা নিয়ে বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। পজ়িটিভ এলে যোগাযোগ করে মোবাইলে সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বলা হচ্ছে, শরীর বেশি খারাপ হলে রাজ্য সরকার অথবা চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। প্রশ্ন উঠছে, সে ক্ষেত্রে কেন উড়ানের প্রত্যেক যাত্রীকে পরীক্ষা করা হচ্ছে না। বিমানবন্দরের এক কর্তার কথায়, ‘‘উড়ান থেকে নামা বাছাই করা যাত্রীদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে তার রিপোর্ট পেতে পেতে অন্য যাত্রীরা চলে যাচ্ছেন।
তা ছাড়া, এ ভাবে সব যাত্রীকে আটকে পরীক্ষা করা সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা কেন্দ্র দেয়নি। সে ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা দেখা দিতে পারে।’’ তবে কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্তদের পাশে বসা অন্য যাত্রীদের সতর্ক করা হচ্ছে বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান।
নিউজ ডেক্স
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.
কবিতা: অনুতপ্ত হতে হবে