ফরিদপুরে ৭ হাজার পরিবারের মাঝে ঈদের হাসি ফোটালেন আব্দুস সোবহান


ঈদ আনন্দ সর্বময় আনন্দ, কেউ না হয় যেন বঞ্চিত। এমনইভাবে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষের মুখে ঈদের হাসি ফুটিয়ে আসছেন অকোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপণা পরিচালক ও সাজিদ-সোবহান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান। হাজারো ব্যস্ততার ফাঁকে প্রতিবছর ঈদে ছুটে আসেন নিজ এলাকায়।
“ধনীর সম্পদে আল্লাহ তায়ালা গরীবের অংশ (যাকাত) নির্ধারণ করে দিয়েছেন” এই স্লোগানকে ধারণ করে অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের সাথে ভাগাভাগি করে নেন ঈদানন্দ। শুধু নিজ এলাকার গন্ডি নয়, আশপাশের ৬টি ইউনিয়নের হতদরিদ্র, অসহায় এসব মানুষের পাশে দাড়ান তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রায় ৭ হাজার মানুষের মাঝে বিতরণ করেন শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রি-পিচ, পাঞ্জাবী, সেমাই ও চিনি।
২৮ এপ্রিল ২০২২ইং রোজ: শনিবার সকাল ৮ টায় ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের পোরদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে সাজিদ-সোবহান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অকোটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মতিয়া বেগম ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন, চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামসুন্নাহার মহিদ, কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম মোস্তফা, সালথা উপজেলার গট্টি ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাবলু প্রমুখ।
এ সময় ফরিদপুর সদরের কানাইপুর, চাঁদপুর, কৃষ্ণনগর, কৈজুরী এবং সালথা উপজেলার আটঘর ও গট্টি ইউনিয়নের ৭ হাজার অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে নিজ হাতে ঘুরে ঘুরে ঈদ উপহার বিতরণ করেন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান। সহযোগিতা হিসেবে অক্লান্তভাবে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনাও করেন কানাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন।
এর আগে হাজারো ব্যস্ততার ফাঁকে নাড়ীর টানে জন্মস্থান এলাকায় প্রতিবেশীদের সাথে মিলেমিশে ঈদ উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে হেলিকপ্টার যোগে পরিবারসহ নিজ এলাকায় চলে আসেন তিনি। প্রতিবছরই তিনি গ্রামের হতদরিদ্র এসব মানুষের সাথে ঈদ উপভোগ করেন বলে উপকারভোগীরা জানান।
জানা যায়, সাজিদ-সোবহান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শুধু ঈদ উপহার বিতরণ কার্যক্রমের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে উক্ত ৬টি ইউনিয়নের অসহায়, হতদরিদ্র, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ৬টি ইউনিয়নের ১৬৮টি গ্রামের এসব মানুষের সুশৃঙ্খলভাবে তালিকা করে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ তালিকায় প্রতিবছরই সংযোজন-বিয়োজন ঘটে বলে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান সাংবাদিকদের জানান।
মোঃ ইনামুল হাসান মাসুম:
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.