সালথায় জাতীয় বীমা দিবস-২০২২ উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত


মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার, বীমা হোক সবার,বীমায় সুরক্ষিত থাকলে, এগিয়ে যাবে সবাই মিলে‘ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় বীমা দিবস পালন করা হয়েছে।
১লা মার্চ (২২) সারা দেশের ন্যায় ফরিদপুরের সালথা জাতীয় বীমা দিবস পালিত হয়। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদের চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে উপজেলা সদর বাজার ও প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা পরিষদের চত্বরে এসে শেষ হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ তাছলিমা আকতারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আহসান মোস্তফা কামাল, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা ডলি, উপজেলা উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল বারি প্রমূখ। এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সারা দেশ বীমা দিবস পালন করা হয়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে তাল মিলাতে পারছে না বীমা, এজন্য সবার আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বীমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী করার আহবান জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তারা অনুরোধ জানিয়েছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ অন্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করে অতি দ্রুত আইডিআরএ কে পূর্ণমাত্রায় কার্যকর করার।
১৯৬০ সালে জেল থেকে বের হয়ে ১লা মার্চ তৎকালীন আলফা ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে আঞ্চলিক প্রধান হিসেবে কাজ শুরু করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঐ দিনটিকে মর্যাদা দিয়ে গত ৩ বছর ধরে ১লা মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস উদযাপন করছে বীমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইডিআরএ।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে খাতটির সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সবাই।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন, আইডিআরএ-এর চেয়ারম্যান ডক্টর এম মোশাররফ হোসেন। চার্টার্ড লাইফ ইন্সুরেন্সের সিইও এস এম জিয়াউল হক বক্তব্য রাখেন।
বীমা খাতের উন্নয়নে সরকার সাধ্যমতো সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্ত করেন নীতিনির্ধারকেরা। বাংলাদেশে লাইফ-নন লাইফ মিলিয়ে ইন্সুরেন্সের সংখ্যা ৮১টি। কিন্তু জিডিপিতে দেশে এ খাতের অবদান মাত্র ০.৪%, ভারতে ৭.৪%।
নিজস্ব প্রতিবেদক
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.