আলফাডাঙ্গায় সড়কের দু’পাশ জুড়ে রাখা গাছের গুঁড়ি, দুর্ভোগে পথচারীরা
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা–বোয়ালমারী আঞ্চলিক সড়ক বেড়িরহাট বাজার উত্তর হতে কার্পেটিং রাস্তার দু’পাশ বর্ধিতকরণ এইচবিবি জুড়ে কাঠ ব্যবসায়ী মালিকেরা দখল করে ব্যবসা করছে।
সড়ক বিভাগের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে বছরের পর বছর ব্যবসা করে যাচ্ছে। কার্পেটিং সড়কের সাথে গাছের গুড়ি রাখায় সড়ক দিয়ে চলাচলরত নসিমন,রিকশাভ্যান,ইজিবাইক,বাইসাইকেল, বাস, ট্রাকসহ মাঝারী, ছোট বড় যান চলাচলের সময় ওভারট্রেকিং করার কারণে অনেক সময় এ যানবহনগুলো চাপ খেয়ে এইচবিবি নেমে যাওয়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে।একই সঙ্গে এভাবে গাছের গুঁড়ি স্তূপ করে রাখায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আলফাডাঙ্গা উপজেলায় বানা বোয়ালমারী সড়কে বেড়িরহাট বাজার,হেলেঞ্চা বেড়িরহাট রোড হেলেঞ্চা বাজার , গোপালপুর বকজুড়ি রোড গোপালপুর বাজার ,বেজিডাঙ্গা বাজার,জাটিকগ্রাম মহিষারগোপ রোড জাটিকগ্রাম বাজার , মালা,কুচিয়াগ্রাম দিকনগর রোড কুচিয়াগ্রাম বাজার, শিরগ্রাম বাজার,জয়দেবপুর বাজার,সহস্রাইল বাজার,ভাটিপাড়া, এলাকায় রাস্তার দুই ধারে গাছের গুঁড়ি স্তূপ করে রাখা হয়েছে। সড়কের ওপর ট্রাক ও রেখে গাছের গুঁড়ি তোলা হচ্ছে।
আয়শা আক্তার (১৪) নামের ধুলজুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বলে, ‘সড়কের পাশ দিয়ে হাঁটার স্থানে গাছের গুঁড়ি রাখা হয়। আমাদের বাধ্য হয়ে সড়কের মাঝবরাবর হাঁটতে হয়। সহিদুল ইসলাম নামে এক পথচারীরা বলেন, পাঁকারাস্তার দুই পাশে ইটের সলিং সহ দখল করে দীর্ঘদিন কাঠ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে চলেছে। এমনভাবে দখল করে রেখেছে যে পিচ এর রাস্তা বাদে সবটুকু বেদখলে।
অটো রিকসা চালক হামিদ বলেন, ইচ্ছা স্বাধীন ভাবে এই গুরুত্বপুর্ন সড়কের পাশে যেখানে-সেখানে বিপদজনক ভাবে বড় বড় গাছের গুড়ি ও গাছ রাখা হয়েছে।আমাদের তিন চাকার গাড়ি রাস্তার পাশ দিয়ে চলতে হয়। এতে এ সড়কে চলাচলকারী মানুষ ও যানবাহন বিশাল ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমরা নিরাপদ চলাচলের জন্য এ গাছ গুলো সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করছি।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক করাতকল দুই মালিক বলেন, সড়কের দুই পাশের জায়গায় বিপজ্জনকভাবে বড় ছোট সব ধরনের গাছের লক ও গুড়ি রেখে ব্যবসা করছে একশ্রেনীর কাঠ ব্যবসায়ী মালিকেরা। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।তাদের বারবার গাছ সরাতে বলি, এই গাছ আমাদের না আমরা সকলের কাঠ শুধু মাত্র চেরাই করি। তাই সড়ক বিভাগের নির্দেশ অনুসারে দ্রুতই এই ঝুঁকিপূর্ণ গাছের কাঠ বা লক অপসারণ করা দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা করাতকল( ‘স মিল)’ মালিক সমিতির সভাপতি এমআর রাসেল সত্যতা স্বীকার করে বলেন। সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হক স্যার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গেলে তার কাছ থেকে সময় নিয়ে ছিলাম। তারপর একাধিকবার গাছ ব্যবসায়ী মালিকদের মৌখিকভাবে গাছের লক সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলাম, তারা সেই নির্দেশ কেউ পালন করেনি।অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,
এ ভাবে গাছ রেখে ব্যবসা করা অপরাধ।তাদের বলবো দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার জন্য। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোত্যিশ্বর পাল মুঠোফোনে বলেন,বন কর্মকর্তাকে করাতকল মালিক পক্ষেকে রাস্তার উপর গাছের গুড়ি অপসরণ করতে নোটিস পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছি।আইন অমান্য করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনকরা হইবে।
আরিফুজ্জামান চাকলাদার
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.