আলফাডাঙ্গায় মা হয়েছেন পাগলী, বাবা হলেন কে
অবশেষে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে সেই তরুণী।ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের পানাইল সাতবাড়িয়া গ্রামে মো. হারু শেখের (পাগল) মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন রিক্তা খানমের কোল আলো করে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান পৃথিবীর মুখ দেখল।
গত ৩০ জুলাই দশ মাস দশ দিন পরে পাগলির কোল জুড়ে পৃথিবীতে আগমনের বার্তা জানায় এ নবজাতক শিশু।এগিয়ে আসেনি কেউ জন্মদাতা পিতার পরিচয় নিয়ে।
ঐ কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে কে তার বাবা চিনতে পারেনি পরিবারে পক্ষ থেকে।ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা ব্যাপী মানুষের ঘৃণা আর থুতু থাকছে ওই জৈবিক ক্ষুধা নিবারণকারী মানুষরূপী জানোয়ারটির প্রতি।
সরেজমিনে জানা যায়,হারু শেখ সহ দুই ছেলে ও এক মেয়ে সবাই ঐ পরিবারে মানসিক ভারসাম্যহীন( পাগল)। রিক্তা খানম মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার কারণে কখনো বাড়ি, কখনো বাজারে,রাতে গ্রামে ঘুরতে থাকে।
ওই তরুণীর মানসিক ভারসাম্যহীনতার সুযোগ নিয়েই হয়তো মানুষরূপী জানোয়ার তাকে ভোগের পণ্য হিসেবে ব্যবহার করে অন্তঃসত্ত্বা করেছে।মা ও মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় তিন সন্তান জন্মের পরে হারিয়ে যায়।সাত মাস পার হওয়ার পর ফুফু রীনা বেগম ও প্রতিবেশীরা টের পায়। পরে হাসপাতালে এ্যাবশন করতে গেলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকায় ওয়াস করা হয় না।লোক লজ্জা ও সমাজের ভয়ে মুখ খুলতে পারে নাই।
নাম প্রকাশে অনিছুক ব্যক্তিরা বলেন,ঐ পরিবারের পক্ষে গ্রামের কেহই এগিয়ে আসেনি।বরং এই খবর এলাকায় জানাজানি হলে এলাকার কিছু মাতুব্বর বলে, গ্রামের কোন লোকের নাম জড়ালে, তাদের গ্রাম থেকে চলে যেতে হবে এমন ভয়ভীতি কথা ইঙ্গিতে বোঝায়।
এমন কি গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেবে ? এই ভয়ে পরিবারের কেহই মুখ খুলছে না। জন্মদাতার পরিচয় ঐ পরিবারের আত্মীয় স্বজন এখনো জানতে পারেনি।পুলিশ প্রশাসনের প্রতি বিশেষ অনুরোধ ঐ সন্তানের বাবা কে খুজে বের করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করছি এবং সমাজের বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।
টগরবন্ধ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান আসাদ মাস্টার বলেন,আমি ওই পরিবারের পাশে থাকবো। যে কোনো জায়গায় যে কোন আর্থিক খরচ বহন করব।এবং ঐ নরপিশাচকে চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করি।
আলফাডাঙ্গা থানা অফিসারস ইনচার্জ ওসি আবু তাহের বলেন, ওই গ্রামে ও পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে কেউই অভিযোগ করেনি।আমি খবর পেয়ে ওই এলাকায় ঐ নরপিশাচকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। শনাক্ত করার জন্য কাজ চলছে এবং আইনের আওতায় আন হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হক বলেন, সংবাদ পেয়েছি আমি ওসির সাথে কথা বলব। ওদের পাশে থেকে সাহায্য সহযোগিতা করব।পুলিশ প্রশাসনের সাথে সহযোগিতা করে ওই নরপিশাচকে খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আরিফুজামান চাকলাদার
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.
কবিতা: অনুতপ্ত হতে হবে