সালথায় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত


ফরিদপুরের সালথায় আব্দুল কাদির সরদার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার ফাইনাল পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় এই হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত চলমান থাকে।
এই প্রতিযোগিতায় ফাইনাল পর্বে ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপে মোট ১৬ জন প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করে। শেষে ‘ক’ গ্রুপে ও ‘খ’ গ্রুপে থেকে ৩ জন করে মোট ৬ জনকে পুরষ্কার ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। বাকী সকল প্রতিযোগিকে শান্তনা পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
‘ক’ গ্রপে বিজয়ীরা হলেন, মো: আবু হুরায়রা (১ম), মো: জুনায়েদ আল হাবিব (২য়), মো: সিহাব উদ্দিন (৩য়)। ‘খ’ গ্রপে বিজয়ীরা হলেন, মারকাজুল কুরআন ক্যাডেট মাদ্রাসার ছাত্র মো: সাকিব আল হাসান (১ম), মো: মুশফিক হাসান (২য়) ও মো: সাদিক সরদার (৩য়)।
‘ক’ গ্রপের ১ম বিজয়ীকে ১০ হাজার টাকা, ২য় বিজয়ীকে ৬ হাজার টাকা ও ৩য় বিজয়ীকে ৪ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়। অপরদিকে ‘খ’ গ্রপের ১ম বিজয়ীকে ৫ হাজার টাকা, ২য় বিজয়ীকে ৩ হাজার টাকা ও ৩য় বিজয়ীকে ২ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের বিচারক হিসাবে ছিলেন,ফরিদপুরের বায়তুস শরফ মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মো: আতিকুর রহমান ও মাদ্রাসা তু জাবালে নুর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ নাজির আহমেদ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য নুর মোহাম্মদ তোতা মিয়া, ভাওয়াল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো: আব্দুল ওয়াহাব মাতুব্বর, সালথা উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহমুদ আশরাফ টুটু।
আব্দুল কাদির সরদার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর পরিচালক ওলিউজ্জামান, সদস্য মো: এনায়েত হোসেন, মো: জাকির হোসেন, রেজওয়ান সালাউদ্দিনসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, মুরাটিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মোস্তফা কামালসহ বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে আগত মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন, সালথা মডেল মসজিদের ইমাম মো: রবিউল ইসলাম। এর আগে, ১৩ এপ্রিল, ২০২৩ তারিখে ‘ক’ ও ‘খ’ দুটি গ্রপের ১ম পর্বের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ১ম পর্বে সালথা ও নগরকান্দা দুই উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা হতে দুটি গ্রুপে মোট ৪১ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে ১৬ জনকে ইয়েস কার্ড প্রদান করা করে ফাইনাল পর্বের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
আব্দুল কাদির সরদার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর পরিচালক ওলিউজ্জামান তার এক বক্তব্যে নলেন, আমরা এই সংগঠন করেছি মূলত, কুরআনের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া, মেধাবী ছাত্রদের অর্থনৈতিক সাহায্য করা এবং তাদের আত্মমর্যাদা ও সামাজিক মর্যাদাবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজের পাশাপাশি আমাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক সমুন্নত রাখতে। আগামীতে আমরা স্কুল পর্যায়েও এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করার চেষ্টা করার কথা ভাবছি।
প্রসঙ্গত, আব্দুল কাদির সরদার ইউসুফদিয়া গ্রামের কৃতিসন্তান ছিলেন। তার মৃত্যুর পর নাতিরা এই ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন সৃষ্টি করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.