মধুখালীতে জমেছে ধানের চারার হাট-দৈনিক ভোরের বার্তা
চলছে বোরো আবাদের মৌসুম। কোন কোন কৃষক আবাদ শুরু করেছেন কেউ বা শেষের দিকে চারা রোপণে ব্যস্ত। আর বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের কারণে অনেক বীজতলা নষ্ট হওয়ায় চাষিদের ভরসা করতে হচ্ছে চারা বিক্রির হাটের উপর।
হাট থেকে চারা ক্রয় করে জমিতে রোপণ করছেন চাষিরা। এমন কয়েকটি বোরো ধানের চারা বিক্রির হাট রয়েছে মধুখালী উপজেলার বিভিন্নস্থানে। বাজারে চারার কয়েক গুন বেশি দাম ছাড়াও কোন কোন ক্ষেতে চারা রোপণ করলেও সেগুলো আজানা কারনে মারা যাওয়ায় পুনরায় চারা রোপন করতে হচ্ছে।
উপজেলার মধুখালী, কামারখালী বাজার এলাকায় বোরো ধানের চারা বিক্রির হাট রয়েছে। রীতিমত সেখান থেকে চাষিরা চারা কিনে নিয়ে জমিতে রোপণ করছেন। চারা বিক্রি হয় পোন হিসাবে এক পোন চারার মূল্য ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। প্রতি বস্তা চারা ক্রয়ে খাজনা দিতে হয় ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
বোরো আবাদের জন্য মধুখালী হাটে চারা কিনতে আসা মোঃ ইমু মাহমুদ বলেন, আমাদের যে চারা ছিল তা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হাট থেকে চারা কিনতে হচ্ছে। শতক জমি রোপণের জন্য চারা কিনতে আসছি। মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন চারা কিনতে চেয়েছিলাম দাম একটু বেশি থাকায় এ বছর ধানের চারা রোপন করবো না।
চারা বিক্রেতা মোঃ আবির বলেন, ‘আমার জমিতে বেশি বীজতলা তৈরি করা হয়েছিল। আমার চারা লাগানো হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত চারা বেঁচে ফেললাম।
উপজেলা কৃষি অফিসার আলভির রহমান বলেন, ‘উপজেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্র ছিলো ১ হাজার পাঁচশত ৮৫ হেক্টর। এখন পর্যন্ত বোরো আবাদ হয়েছে ১ হাজার সাতশত ৯৫ হেক্টর জমিতে। চাষিদের সঠিক পরার্মশ এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারণে বোরো লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে’। তিনি আরও বলেন, এবছর উপজেলায় বোরো এবং গম অনেক ভালো ফলন হবে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।
হৃদয় শীল, মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি ঃ
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.
কবিতা: অনুতপ্ত হতে হবে