কানাইপুর শীতার্তদের বাড়ি বাড়ি কম্বল নিয়ে ছুটছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন-ছায়ানীড় ফাউন্ডেশন


শীতে অসহায় হয়ে পড়েন দেশের অস্বচ্ছল মানুষ। কোনো রকম শীতবস্ত্র গায়ে দিয়ে রাত কাটিয়ে দেন তারা। বিশেষ করে গ্রামঞ্চলের এসব মানুষ পড়েন মহাসংকটে, শহরের মানুষের মতো কম্বলের আশায়ও তাকিয়ে থাকেন না তারা। কিন্তু ফরিদপুরে গ্রামঞ্চলের এসব মানুষের বাড়ি বাড়ি কম্বল নিয়ে ছুটছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ছায়ানীড় ফাউন্ডেশন’।
মঙ্গলবার ভোর থেকে বেলা ৯টা পর্যন্ত ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের যাচাই-বাছাই কৃত অস্বচ্ছল শীতার্ত বয়স্ক মানুষদের মাঝে কম্বল নিয়ে ছুটে যান ছায়ানীড় সংগঠনের সদস্যরা। এ সময় তারা সবিরন (৬২), বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নওশাদ (৩৫), খলিল (৪৬), জুলেখা (৫৫), ফরহাদের মা (৬০), ইদ্রিসের মা (৭৩), ভ্যান চালক শহীদের মা (৫৭), কবির মোল্লা (৫৫) সহ আরো বেশ কিছু শীতার্ত বয়স্কদের গায়ে যত্নসহকারে কম্বল পড়িয়ে দেন।
এছাড়া কানাইপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মধ্যে কাশিমাবাদ, রামখন্ড, উলুকান্দা, রায়কাইল, খাসকান্দি, ভাটিকানাইপুর, শোলাকুন্ডু এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার শীতার্ত মানুষের মধ্যে ছায়ানীড়ের পক্ষ থেকে দ্বারেদ্বারে গিয়ে উন্নতমানের শীতবস্ত্র (কম্বল) পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এ সময় কম্বল পেয়ে বয়স্ক শীতার্ত ব্যক্তিরা খুশি হয়ে বলেন, ‘আজ খুব ভালো লাগতেছে। আমাদের মাঝে বাড়ি বাড়ি এভাবে কেউ কম্বল নিয়ে আসে না। ভাবিও নাই কেউ কম্বল নিয়ে এতো সকালে বাড়িতে চলে আসবে। তোমরা এসেছো আমাগো বাড়িতে, খুব ভালো লাগতেছে। আল্লাহ’র কাছে তোমাগো জন্য দোয়া করি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ছায়ানীড় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ ইনামুল হাসান মাসুম, সদস্য শ্রাবণ হাসান, এফ এম সালমান, ফরিদ মিয়া, ঘুরি-ফিরি ফরিদপুরের এডমিন ইকবাল মাহামুদ ইমন সহ বেশ কয়েকজন।
ছায়ানীড় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইনামুল হাসান মাসুম বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন দূর্যোগে, আপদে-বিপদে আমরা সমাজের অস্বচ্ছল মানুষের পাশে দাড়িয়ে থাকি। কেউতো গ্রামের অস্বচ্ছল মানুষের মাঝে কম্বল নিয়ে আসে না, এবার ভেবেছিলাম, গ্রামের এসব মানুষকে দ্বারেদ্বারে গিয়ে শীতবস্ত্র পৌঁছে দেবো এবং সেই মোতাবেক কাজও করে যাচ্ছি।’ আপনাদের দোয়া ও সহোযোগিতায় এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। ইনশাআল্লাহ্।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.