স্মরণকালের বিশাল জনসমাগমে ফরিদপুর-২ আসনের মনোনয়নপত্র জমা দিলেন জামাল হোসেন মিয়া
আসন্ন ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য এবং বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পরিচালক এ্যাডঃ জামাল হোসেন মিয়া।
আজ সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে সালথা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোঃ তেলায়েত হোসেনের কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দেন তিনি।
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ্যাডঃ জামাল হোসেন মিয়া মনোনয়নপত্র জমা দিবেন এমন খবরে সালথা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর ও আশপাশের এলাকায় সকাল থেকে তার কর্মী সমর্থকরা এসে জড়ো হতে থাকে। জন সমাবেশ একসময় জনসমুদ্রে পরিনত হয়। বিশাল গাড়ি বহর নিয়ে জনস্রোত মাঝ দিয়ে এ্যাড জামাল হোসেন মিয়া মনোনয়ন পত্র জমা দেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ওহিদুজ্জামান, রামকান্তপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইশারত হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফর আলী লিটু, গট্টি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার রেজাউর রহমান চয়ন, বল্লভদী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন, খোরশেদ খান, মোঃ ফরিদ হোসেন, নায়েজ হোসেন, জাহিদ হোসেন, আব্দুর রহমান, দুলাল কাজী প্রমূখ।
এছাড়া আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠেনের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও জামাল হোসেন মিয়ার কর্মী সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য এবং বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পরিচালক এ্যাড জামাল হোসেন মিয়া বলেন, আমি নৌকার বিপক্ষে নয় আমি লাবু চৌধুরীর ও তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিপক্ষে নির্বাচন করে এই এলাকার মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য প্রার্থী হয়েছি।
আমি আওয়ামীলীগের লোক আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাজীবন আওয়ামী লীগ করে যাব।
তিনি আরো বলেন আমি নগরকান্দা-সালথার জনগণের ইচ্ছায়ই রাজনীতি করি। তাদের ভালবাসা ও সমর্থন আমাকে এই পর্যন্ত এনেছে। আমি বরাবরই জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করি এবং করতে চাই। জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনও আমার রাজনীতির একমাত্র শক্তি। জনগণ সেটা ভোটের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিবে বলে আশা করি। ইনশাআল্লাহ আগামী ৫ নভেম্বর বিজয়ী হয়ে আমরা ঘরে ফিরে যাব।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গত ২৬ সেপ্টেম্বর এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল আজ ১০ অক্টোবর, বাছাই ১২ অক্টোবর ও প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১৯ অক্টোবর। সদ্য প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ফরিদপুর-২ আসনে উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ০৫ নভেম্বর।
নিজস্ব প্রতিবেদন
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.
কবিতা: অনুতপ্ত হতে হবে