দাশুড়িয়ায় পানিবন্দী হাজারো মানুষ
চার দিকে পানি আর পানি। হালকা বৃষ্টিতেই পানি বন্দী হয়ে থাকতে হয়। বৃষ্টি হলেই উঠানের ভিতরে পানি দরজা ছুঁই ছুঁই হয়ে যায়, আবার দরজাও ডুবে যায় পানিতে।
পানির মধ্য দিয়েই এঘর-ওঘর এবং টয়লেটে যাতায়াত করতে হয়। সবজি চাষাবাদ, হাঁস মুরগির ঘর ও মাছের খামারসহ তলিয়ে গেছে। শুধু পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় পাঁচশ পরিবার। বলছিলাম ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুরিয়া ইউনিয়ন এর কথা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগ পোহায় গ্রামবাসী। কিছু কিছু পরিবার নৌকা ব্যবহার করে পানি পার হয়ে যাচ্ছে শহরে। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে আগ্রহ হারাচ্ছে পানি বাড়ার কারণে।
দাশুড়িয়া ট্রাফিকমোড় সরাইকান্দি, হঠাৎপাড়া, লক্ষীখোলা, কারিগড়পাড়া, কলেজপাড়া দাশুড়িয়া মাদ্রাসা দাশুড়িয়া ডিগ্রি কলেজ পানিবন্দীর আওতার মধ্যে রয়েছে। কয়েক হাজার পরিবার আজ পানিবন্দী, গত কয়েক বছর ধরে চরম দুর্ভোগের মধ্যে আছে এই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।
এ প্রসঙ্গে এলাকাবাসী মোঃ আখতারুজ্জামান, মো: জনি, মানিক, মোঃ সোহেল রানা, মোঃ শাহিন মন্ডল সহ অনেকেই জানান, দাশুড়িয়া মোড়ের পাশ থেকে কলেজপাড়া, কারিগরপাড়ার প্রধান সমস্যা হলো জলাবদ্ধতা।
বছরের পর বছর আমাদের এই সমস্যায় ভুগতে হয়। সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এলকাবাসী আরো জানান, রান্না করার চুলা ডুবে গেছে। গোসলখানায় পানি উঠেছে। বাধ্য হয়ে বাইরের উঠানের এক পাশে অস্থায়ী গোসলের জায়গা করা হয়েছে। প্রতিবছরই বর্ষায় এই এলাকায় পানি জমে। এসব পরিবারের মতোই একই অবস্থা বৃষ্টির পানিতে বন্দী অন্যান্য পরিবারগুলো।
চলাফেরার সমস্যা তো আছেই রান্না, গোসল, এসব নিয়ে দুর্ভোগ হচ্ছে প্রচন্ড। পানি বন্দি পরিবার গুলো জনপ্রতিনিধীদের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
আলিফ হাসান ঈশ্বরদী পাবনা
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.