ভাগ্যকুলে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট-দৈনিক ভোরের বার্তা
ঈদের মাএ আর ২ দিন বাকি পবিত্র ঈদ-উল আযহার উপলক্ষে ঐতিহাসিক ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল এন্ড কলেজের মাঠ প্রাঙ্গণে বিশাল গরু-ছাগলের হাট।করোনা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন মাক্স পড়ে হাটে আসুন।
এই হাট ঈদের দিন সকাল পযর্ন্ত চলবে। কোরবানীর হাটে গবাদিপশুর সেবাদানে নিয়োজিত। সকল ক্রেতাদের মাঝে মাক্স ও সাবান ব্যবহারের ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে।সরকার কতৃ্ক নিধারিত হাসিল শতকরা ৬টাকা নেওয়া হচ্ছে কোরবানির পশুর হাট। হাটে ক্রেতা – বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে দর কষাকষি ও বেচাকেনা। অল্প সময়ের মধ্যেই দেখে-শুনে কোরবানির পশু কিনতে চান ক্রেতারা।
গেল বারের মতো এ বছরেও হাটে মাঝারি গরুর চাহিদাই বেশি।তবে দাম ছাড়তে নারাজ বিক্রেতারা। আবার দাম দরে মিলে গেলেই পশু নিয়ে হাট ছাড়ছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার (৮ জুলাই) দুপুরে ভাগ্যকুলে এলাকায় পশুর হাটে গিয়ে এমন দৃশ্য নজরে পড়ে। সংশ্লিষ্টরা সাংবাদিকদের জানান, ঈদ ঘনিয়ে আসছে। হাটে মানুষের আনাগোনা শুরু হয়েছে। পশুর এ হাটে বিভিন্ন এলাকা থেকে ধীরে ধীরে কোরবানির পশু আসতে শুরু করছে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়িবোঝাই করে ও হেঁটে নিয়ে আসা পশুর সংখ্যাও বাড়তে থাকে। একটা থেকে দুটোর মধ্যেই হাটের প্রায় পুরো স্থানই কোরবানির পশু দিয়ে ভরে যায়। বলা চলে, দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যেই ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধান ফটক দিয়ে হাটের ভেতরে প্রবেশ করে কিছু দূর যেতেই অসংখ্য গরুর মাঝে দেখা মিললো বেশ কয়েকটি বড় আকারের ষাঁড়ের। এ স্থানে হাটের বড় বড় ষাঁড়ের বেচাকেনা হয়ে থাকে। ষাঁড়গুলোর মালিকরা দড়ি ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। ষাঁড়গুলো দেখতে ভিড় করছেন ক্রেতারাও। কেউ কেউ নেড়ে-চেড়ে দেখছিলেন।
তবে হাটে আসা বেশিরভাগ ক্রেতার চাহিদার শীর্ষে রয়েছে মাঝারি আকারের গরু। বড় ও বেশি দামের গরু কেনার মতো ক্রেতার সংখ্যাও রয়েছে বেশ। কিন্তু তার পরেও বড় আকারের গরুর মালিকরা একটু দেখেশুনেই তাদের পশুটি বিক্রি করতে চান।
দেশীয় জাতের চারটি বড় ষাঁড়ের মালিক আতাহার আলী সাংবাদিকদের জানান, এ হাটে নিয়ে আসা তার ষাঁড়গুলোর দাম চাওয়া প্রতি জোড়া পাঁচ লাখ টাকা। সাড়ে ৩ লাখ টাকা দাম উঠেছে। অন্য এক জোড়ারও একই দাম উঠেছে। তবে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা হলে ছেড়ে দেবেন তিনি। অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে লালন-পালন করা গরুগুলোর ন্যায্য দামের আশায় বুক বেঁধে আছেন তিনি।
আতিকুর রহমান, শাহাদত হোসেন, বিল্লাহ মিয়া, সাইফ আকবর নামে কয়েকজন ক্রেতা সাংবাদিকদের জানান, তারা সাধারণ ক্রেতারা হাটে ঢুকেই মাঝারি আকারের গরুর দিকে ছুটে যান। এ বছর হাটে আসা বেশির ভাগ ক্রেতারই বাজেট ১ লাখ থেকে ১৩০ হাজার টাকার মধ্যে। আবার অনেক ক্রেতাই ৭০ থেকে ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে কোরবানির পশু কিনতে হাটের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ঘোরাঘুরি করছেন।
তারা বলেন, মাঝারি আকারের গরুর প্রতি ক্রেতাদের বেশি ঝোঁক থাকায় বিক্রেতারা অনেকটা সুযোগ নিচ্ছেন। ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। ফলে কোরবানির পশু কিনতে ব্যাপক দর দাম করতে হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তারা।এবার শ্রীনগরে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার রোধে নানা উদ্যোগ নিয়েছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়।
খামারি ও পশু পালনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র। পাশাপাশি তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।
তারিকুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রতিনিধিঃ-
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.
কবিতা: অনুতপ্ত হতে হবে