সালথায় প্রতিপক্ষের হামলায় আ“লীগ নেতা আহত-রিপোর্ট মজিবুর রহমান
নৌকার পক্ষে কাজ করায় নির্বাচনের প্রায় তিন মাস পর ফরিদপুরের সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. নুরুজ্জামান টুকু ঠাকুর (৭৫) ও তার স্ত্রী জিনিয়ারা বেগমের (৫৫) উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে,নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
শনিবার সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় স্বামী-স্ত্রী দুজনই গুরুতর আহত হওয়ায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নুরুজ্জামান টুকু ঠাকুর অবিভক্ত নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। প্রবীণ এই আ.লীগ নেতা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের মৃত গোলাম রসুল ঠাকুরের ছেলে।
নুরুজ্জামান টুকু ঠাকুরের ছেলে বাদল ঠাকুর মুঠোফোনে অভিযোগ করে বলেন, গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আমার বাবা নুরুজ্জামান টুকু ঠাকুর নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন।
আরো বলেন আমার চাচার তিনটি গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেছে দুই নংওয়ার্ড সদস্য ইরোন গং, রা।পরে পুলিশ ও সাংবাদিকেরা দুইটি গরু উদ্ধার করে আমার চাচাকে দিয়েছে আরো একটি গরু নিখোজ রয়েছে।
নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে স্বতন্ত্রী প্রার্থী মো. রফিক মোল্যা বিজয়ী হন। এরআগে নির্বাচনী সহিংসতায় রফিক মোল্যার সমর্থক খারদিয়া গ্রামের মো. মারিছ সিকদার নিহত হয়।
নিহতের ঘটনায় আমার বাবাকে আসামী করা হয়। নির্বাচনের পর ওই হত্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন আমার বাবা। গত তিনদিন আগে জেল থেকে তিনি জামিনে বের হয়ে এক আত্মীয় বাড়িতে ওঠেন।
সেখান থেকে শনিবার সকালে আমার বাবা বাড়িতে গেলে চেয়ারম্যান রফিক মোল্যার সমর্থক ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. ইরন খন্দকার, নুর আমিন খন্দকার ও হেমায়েত মোল্যাসহ ৮-১০ জন তার উপর হামলা চালায়।
এ সময় হামলা ঠেকাতে এলে আমার বৃদ্ধা মা’কে পিটিয়ে আহত করে তারা। হামলায় আমার বাবা-মা দুই জনই গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীরা তাদেরকে উদ্ধার করে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে ভর্তি করেন।
হামলার কথা অস্বকীর করে ইউপি সদস্য ইরন খন্দাকার বলেন, এ হামলার বিষয় আমি কিছুই জানি না। কারা হামলা করেছে তাও জানি না।
যদুনন্দী ইউপির নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. রফিক মোল্যা বলেন, প্রবীণ আ.লীগ নেতা নুরুজ্জামান টুকু ঠাকুর ও তার স্ত্রীর উপর হামলার ঘটনায় আমার সমর্থক ইউপি সদস্য ইরন খন্দকার জড়িত নয়। তিনি মারিছ সিকদার হত্যা মামলার আসামী। মারিছের পরিবারের সদস্যরা এ হামলা চালিয়েছে বলে শুনেছি।
তবে এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। প্রবীণ এ নেতার উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য ইরন খন্দকার লোকজন নিয়ে নুরুজ্জামান টুকু ঠাকুরের উপর হামলা চালিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমি হামলাকারীদের দৃস্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান বলেন, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতার উপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মজিবুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.
কবিতা: অনুতপ্ত হতে হবে