ভোলার চটকিমারার মানুষের দুর্ভোগ রাত নয়টা বাজলে খেয়া ভাড়া- ৪ গুণ


দ্বীপ জেলা ভোলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন এ লাকা চটকিমারা চরে কয়েক হাজার নারী পুরুষের বসবাস, তেতুলিয়া নদীর বুকে জেগে উঠা চরে জীবিকার তাগিদে অসহায় মানুষরা বাড়ীঘর করে জমির চাষাবাদ করেন।
চটকিমারা চরের মানুষের সুবিধাতে জননেতা তোফায়েল আহমেদ পাকা রাস্তা ও বিদ্যুৎ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে যা আজ সুন্দর গ্রামে পরিণত হলেও চটকিমারার মানুষের চারপাশে নদী এবং তাদের যোগাযোগের মাধ্যম একমাত্র খেয়া পারাপার।
চটকিমারা থেকে রাস্তামাথা পর্যন্ত দুইটি খেয়া দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হয়। বিচ্ছিন্ন চটকিমারা বাসীর যোগাযোগের মাধ্যম খেয়া নৌকা হওয়ার এই সুবাদে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া এবং খারাপ আচরণের অভিযোগ উঠেছে খেয়ামাঝিদের বিরুদ্ধে।
সরজমিনে গিয়ে খেয়া পারাপারের যাত্রীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, প্রতি বছর ইজারা হয় কিন্তু ইজারার নিয়মনীতি কিছুই মানেন না খেয়ামাঝিরা। মহিলা এবং অসুস্থ্য যাত্রীদের নামার সময় সিঁড়ি ব্যবহার করেন না মাঝিরা।
অসুস্থ্য রোগী হলেও তারা জরুরী খেয়া ছাড়েন না আবার রাত ৯ টার পর জনপ্রতি ৫০/১০০ টাকা করে টাকা আদায় করেন খেয়া মাঝিরা।
খেয়ামাঝি তুহিন ও সুমন বলেন, আমরা বেতনভুক্ত লোক তবে অহিদ মাঝি খেয়ার মালিক তবে তাদের বিরুদ্ধে খারাপ আচরণ অস্বীকার করে বলে রাগের মাথায় দুই একটু হতে পারে।
অহিদ মাঝি বলেন, খেয়ার মালিক আমি না, মালিক হলেন নলি মেম্বার, তিনি ইজারা এনে আমাকে দিয়েছেন তবে ভাড়া ১০ টাকা নেওয়া কথা হলেও মাঝেমধ্যে ২০ টাকা ও নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
১০ টাকা ভাড়া নেওয়ার নির্দেশনার কোন কাগজ আছে কিনা জানতে চাইলে অহিদ মাঝি বলেন সেটা নলি মেম্বার জানেন। খলিল উদ্দিন নলি মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা, স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জানে।
ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, আমি এখনো পরিষদের দায়িত্ব বুঝ নেইনি তবে খবর নিয়ে দেখবো। মোস্তফা কামাল আরো বলেন, ভেদুরিয়া কোন অন্যায়, জুলুম থাকবে না, একটি সুন্দর ভেদুরিয়া গড়বো ইনশাল্লাহ, এসময় তিনি ভেদুরিয়ার সচেতন মহলসহ সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করেন।
এ বিষয়ে ভেলুমিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ মাইনুল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি তবে খোজখবর নিয়ে দেখবো।
শফিক খাঁন, ভোলা।
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.
কবিতা: অনুতপ্ত হতে হবে