স্বাধীনতার ৫০ বছরে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ঠাঁই হয়নি মকবুল হোসেনের


মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চান মোঃ মকবুল হোসেন মোল্যা। মাতৃভূমি রক্ষায় জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ঠাঁই হয়নি তার।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার পাইকদিয়া গ্রামের মৃত দলিল উদ্দিন মোল্যার ছেলে মকবুল হোসেন মুক্তিযুদ্ধে প্রথমে বিভিন্ন মুক্তি বাহীনির সাথে যুদ্ধ করেন পরে ভারতের নীলগঞ্জে প্রশিক্ষন নেন।
সে প্রশিক্ষনের সনদ থাকলেও মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পাননি। যুব শিবির নিয়ন্ত্রন পরিষদের সনদপত্রে তৎকালীন সময়ের, সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলী স্বাক্ষর রয়েছে। যুদ্ধের পর তিনি এ সনদপত্র হারিয়ে ফেলেও পরে সেটা পেলে ২০১৪ সালে ৩১ মে আবেদন করেন।
এর আগে বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়ন করা হলেও তার নাম বাদ পড়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান জানান, মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য উপজেলা কমান্ডার ফিরোজ আহম্মেদের এর কাছে গেছি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি।
উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির কাছে প্রেরণ করলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানায় কয়েক দফা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ হচ্ছে। যারা বাদ পড়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আপিলের প্রস্তুতিতে আছে।
মকবুল হোসেন মোল্যা অশ্রুসিক্ত কন্ঠে জানান শেষ বয়সে আমার একটি দাবী ভাতা নয় মৃত্যু আগে যে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতিটা পেতে পারি। তিনি আরো বলেন এই একই সনদে অন্যন্যারা যেহেতু মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে তাহলে আমার দোষ কোথায়।
এবিষয়ে মুকসুদপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফিরোজ আহম্মেদ বলেন কি কারণে বাদ পড়েছে তা বলতে পরবো না তবে যেহেতু তিনি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনলায়ে আপিল করেছেন তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হলে তিনি স্বীকৃতি পাবে।
মুকসুদপুর-গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.