সালথায় হত্যাচেষ্টা ঘটনাকে ধামা চাপা দিতে ডাকাতি নাকি সাজানো নাটক
মো: মজিবুর রহমান-সালথা প্রতিনিধি
আনিচুর এর ছেলে শিশু লাবিব (৪) বলে আমার আব্বা আমাকে খাবার কিনে দেয়না। ফরিদপুরের সালথায় হত্যাচেস্টা ঘটনাকে ধামা চাপা দিতে ডাকাতির নামে সাজানো নাটক হয়েছে বলে ধারনা করছে এলাকাবাসী।
আশে পাশের লোকজন জানান প্রথমে শুনেছি চোর আসছে পরে শুনেছি ডাকাতি হয়েছে কিন্তু টিনের ঘরের চাল মনে হচ্ছে ধারাল দা দিয়ে কুপিয়ে কাটছে লক্ষনীয় বিষয় হলো একজন মানুষের কানে এই শব্দ কেউ পেলনা। মোঃ আজিজুল সেখ (৫৫) পিং গেন্দু সেখ বলেন, গতকাল চানুর বাড়ীতে ডাকাতের ঘটনা ঘটেছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে আমারা বলতে পারি কাউন্টার মামলা দেওয়ার জন্য এ ঘটনা ঘটায়।
উল্লেখ্য গত (১৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের পূর্বসোনাপুর গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে মো. আনিচুর মোল্যা (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে তার দুটি হাত ও একটি পা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলো প্রতিপক্ষের লোকজন। অন্তত ৩০টি কোপ দেওয়া হয়েছে ওই যুবকের হাত–পায়ে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আনিচুরের পরিবারের সঙ্গে প্রতিপক্ষের আতিক ফকিরের পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। আনিচুর সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খায়রুজ্জামান বাবুর সমর্থক আর আতিক ফকির বিএনপি নেতা সালথা সরকারি কলেজের প্রভাষক জয়নাল আবেদিনের সমর্থক।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের পূর্ব সোনাপুর গ্রামের মো. চানু ফকিরের দুই প্রবাসী ছেলে ইয়াছিন ফকির ও রবিউল ফকিরের মা শিউলি বেগম(৩০) তিনি বলেন ডাকাতদল টিনের চালা কেটে ঘরে ঢুকে চার বছরে এক শিশুকে জিম্মি করে মালামাল লুটে নিয়েছে ।
এ ব্যাপারে সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু মোল্যা বলেন কয়েকদিন যাবত শুনতে ছিলাম চানু ফকির গংরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বাড়িতে আসবে এবং মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আনিচুর গংদের উপর চাপ সৃষ্টি করবে।
তবে চুরির ঘটনা ঘটতে পারে কিন্তু যখন শুনলাম হাজিজুর ও হাদি মোল্যা এর নাম বলা হয়েছে হাফিজুর এ ধরনের ছেলে নয়। এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রননিত বানোয়াট ছাড়া কিছুই নয় এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত চাই।
বিএনপি নেতা সালথা সরকারি কলেজের প্রভাষক জয়নাল আবেদিনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন শুনেছি টিনের চাল কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে এতে কিছু মালামাল নিয়েগেছে।
এ ঘটনায় গতকাল দুপুরে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী দুই ভাইয়ের মা শিউলি বেগম। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসেছি। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
মো: মজিবুর রহমান-সালথা প্রতিনিধি
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.