ঘাটে ঘাটে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের উপছে পড়া ভীড়-DVB
বছর ঘুরে আবার ঈদ উৎসবের দিনটি যত এগিয়ে আসছে, ঘাটে ঘাটে কিং স্টেশনে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের ভিড় ততই বাড়ছে। আজ ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভোলা তথা দক্ষিণের জেলা গুলোর প্রবেশ দ্বার ইলিশা নৌ বন্দরসহ জেলার প্রতিটি ঘাট এবং গাড়ি ষ্ট্যান্ডে বাড়ি ফেরা মানুষের উপছে পড়া ভীর লক্ষ্য করা যায় ।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ভোলায় নাড়ির টানে বাড়ির পথে পা বাড়িয়েছে ঢাকা-চট্রগ্রামে কর্ম করা শ্রমজীবী মানুষ। আর এসব ঘর মুখো যাত্রীদের জিম্মিদশাকে পুঁজি করে আর্থিক ফয়দা লুটিয়ে নিতে অপচেষ্টা চালান কিচু অশাধু নৌযান শ্রমিক ও ব্যাবসায়িরা।
উত্তাল মেঘনায় ১৩ ই মার্চ থেকে ২৩ অক্টোবর মেঘনার অববাহিকায় (সী সার্ভে) বিহীন নৌযান চলাচলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা পালনে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সোচ্চার থাকলেও কিচু অসাধু নৌযান ব্যাবশায়িরা উৎসবের আমেজকে বিষাদে পরিনত করে স্বার্থ হাসিল করতে অ-অনুমোদিত নৌযান চালিয়ে অতিরিক্ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পারাপার করার প্রাক্কালে কোস্ট গার্ড সদস্যরা অবৈধ দুইটি স্টিল বডি ট্রলার ও একটি স্প্রীডবোট জব্দ করে।
ইলিশা ঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে আজ সকাল সাড়ে ১০ টার সময় অবৈধ তিনটি জলযান জব্দ করেন কোস্ট গার্ড। এসময় কোস্টগার্ড সদস্যরা জব্দকৃত জলযানে আগন্তুক যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌছাতে সহায়তা করেন। এবং জলযান তিনটির ৪ নাবিক কে আটক করেন।
আটক জলযানের ট্রলার দুটি মজুচৌধুরির হাট থেকে ঘরমুখো যাত্রী পারাপার করছিলো বলে জানাগেছে। তবে আটক স্পিডবোট টি ব্যাক্তিগত প্রয়োজনে নিজ মালিকানাধীন মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়া থেকে জৈনেক মৎস ব্যাবসায়ী আসতেই ধরা পরেন আইনি বেড়াজালে।
আটক করা জলযানগুলো ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া করছে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রহমত উল্লাহ।
জলযান আটকের বিষয়ে ও ঈদে ঘর মুখো মানুষকে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌছাতে কোস্ট গার্ড দক্ষিণ যোনের অপারেশন অফিসার মেহেদী হাসান বলেন ১৩ মার্চ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত মেঘনার অববাহিকা কে ডেঞ্জারযোনের আওতাধীন করেছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় মেঘনায় অ- অনুমোদিত নৌযান চলাচল করা ও যাত্রী পারাপার করা নিষিদ্ধ।
আইন শৃঙ্খলা মানতে কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে ইতিপুর্বে সতর্কতা সভা করা হয়েছে। আইন অমান্য করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেঘনা নদী পারাপারের দ্বায়ে ৪ নাবিক সহ দুটি স্টিলবডি ট্রলার ও একটি স্পীডবোট আটক করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার সাথে গন্তব্যে পৌছাতে আমাদের এ কার্যক্রম ঈদ পরবর্তী সময়ে চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে জেলা নির্বাহী ম্যাজষ্ট্রেট মোঃ রহমত উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান মেঘনায় বর্তমান মৌসুমে ছোট ছোট নৌযান চলাচল সম্পুর্ন ভাবে নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলাচল করায় দুটি ট্রলার ও একটি স্পিড বোট সহ ৪ নাবিক কে আটক করা হয়েছে তাদের কে প্রথম বারের মত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। যাতে করে পরবর্তীতে এরকম কাজ করতে সাহস না করে সে দিকে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
ঈদে ঘর মুখো মানুষকে নিরাপত্তার সাথে নিরাপদে গন্তব্যে পৌছাতে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকাল ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আমরা সকল নৌ রুট ও স্টেসন গুলোতে যাত্রীদে নিরাপত্তার সাথে নিরাপদে পৌঁছাতে চেষ্টা করছি। জেলা পুলিশ, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ সহ সকল ভিবাগের নির্বিগ্নে যাত্রীরা যাতে ঈদ পরবর্তী সময়ে কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারে সে পর্যন্ত জেলা প্রসাশনের কার্যক্রম চরমান থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রহমতুল্লাহ।
ভোলা প্রতিনিধি শফিক খাঁন
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.
কবিতা: অনুতপ্ত হতে হবে