মধুখালী গোপালদী পশুর হাট বন্ধ উপজেলা প্রশাসনের চিঠির প্রতিবাদে মানববন্ধন
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বড় গোপালদী গো–হাটটি রোববার ব্যতিত অন্য কোন দিন বসানোর ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের স্থানীয় সরকার শাখার ২৭ আগস্ট ২০২৩খ্রিঃএর স্মারকপত্র অনুযায়ী যার নং ০৫.১২.২৯০০.০১০.৯৯.২৩.৫৬২ মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) শামীম আরা রোববারের গো–হাট বন্ধের নির্দেশক্রমে অনুরোধের একটি পত্র দেন হাট ইজারাদার বরাবরে ।
তারই প্রতিবাদে হাট কমিটির আয়োজনে সংবাদ সম্মেন ও মাবনবন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় বড় গোপালদী বাজার চৌরাস্তায় বিশাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ পরবর্তী বাজার চৌরাস্তায় বড় গোপালদী বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি এস এম আক্তারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে হাটের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন শুকুর মামুদ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো ঃ নাজির হোসেন মৃধা।
ও বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক খন্দকার মোঃ শাহারিয়ার আলম,ইউপি সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম,মোঃ ফরিদ আহম্মেদ,মোঃ ফরহাদ হোসেন মোল্যা, মোঃ সাহিদ হোসেন মোল্যা ও মোঃ আলাল মোল্যাসহ প্রমুখ। এসময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত পাঠ করে বলেন,বড় গোপালদী হাটটি বহু পুরানো । প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
২০০৯ সালে ফরিদপুর সদরের পরমানন্দপুর গ্রামে নবসৃষ্ট একই দিনে রোববার ও বৃহস্পতিবার হাট বসানোকে কেন্দ্র বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হয়। যার কারনে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায় সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ও বিভিন্ন দপ্তরের নথিসুত্রে জানা গেছে মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বড় গোপালদিতে অতীত কাল থেকে সপ্তাহের রোববার ও বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
২০০৯খ্রিঃ ফরিদপুর সদরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে অল্পদুরত্বে রোববার ও বৃস্পতিবার নবসৃষ্ট হাটের সৃষ্টি করা হয় । যার ফলে পুরাতন গোপালদি হাটের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যার পরিপ্রেক্ষিতে দেনদরবার করা হয়।
রোববার ও বৃস্পতিবার ব্যতিত সপ্তাহের অন্য যে কোন দিন করার চেষ্টা করা হয় । কোন চেষ্টাই সফল না হওয়ায় আবশেষে মাহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন বাজার কমিটির সভাপতি এসএম মোঃ আক্তারুজ্জামান। যার পিটিশন নং ৫০৯৭/২০০৯। হাইকোর্টে পিটিশন করায় হাইকোর্ট রায় দেন রোববার ও বৃহস্পতিবার ব্যতিত সপ্তাহের যে কোন দুইদিন করতে নির্দেশ দেন।
নবসৃষ্ট ফরিদপুর সদর উপজেলার পরমানন্দপুর হাটের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করলে মহামান্য হাইকোার্ট ২৮ জুলাই ২০০৯খ্রিঃ প্রতিপক্ষের উপর রুলনিশি জারি করেন। রিট পিটিশন পূর্বক মধুখালী উপজেলার বড় গোপালদি হাট প্রায় ২শ বছরের পুরাতন সপ্তাহে প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার ইতিহাস থাকায় নবসৃষ্ট পরমানন্দপুর হাটটি রোববার ও বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে সপ্তাহের অন্য যে কোন দুদিন সিদ্ধান্ত গ্রহনের লক্ষ্যে ২০ জুলাই ২০০৯ খ্রিঃ এ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এর সভাপতিত্বে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় গোপালদি রোববার ও বৃহস্পতিবার হাট বসবে সপ্তাহের অন্যযে কোন দুদিন পরমানন্দপুর হাট বসবে।
সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ীত না হওয়ায় মহামান্য হাইকোটে বাস্তবায়ন চেয়ে আবেদন করলে হাইকোট ২১এপ্রিল২০১০খ্রিঃ তারিখে ৫-১২নং প্রতিপক্ষকে বাস্তবায়নের জন্য নিদের্শ প্রদান করেন। মহামান্য হাইকোটের নিদের্শ বাস্তবায়নের লক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে ১৩অক্টোবর ২০১০খ্রিঃ তারিখে সবা অনুষ্টিত হয়।
পূর্বের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে জন্য সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ীত না হওয়ায় পুনরায় হাইকোটে বাস্তবায়ন চেয়ে আবেদন করলে হাইকোট পুনরায় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে মহামান্য হাইকোটকে অবহিত করার জন্য ২২ মার্চ ২০১১ খ্রিঃ সিদ্ধান্ত গ্রহন কারীদের নির্দেশ প্রদান করে।
নিদের্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে ১ আগস্ট ২০১১খ্রিঃ তারিখে সভায় পূর্বের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ২০০৯ থেকে ২০১১খ্রিঃ আইনী লড়াই করেও হাইকোটের কোন রায় বায়স্তবায়ীত হয় নাই। মহামান্য হাইকোটের নিদের্শনার বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে চলে আসছে পার্শ্ববর্তী নবসৃষ্ট হাটটি।
সচেতন মহলের একটাই জিজ্ঞাসা তাদের খুটির জোর কোথায়? সম্প্রতি গোপালদি গরুর হাট ২০২৩খ্রিঃ ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানীর পশুর হাট বসালে কয়েক মাস চলছিল। কোন হাতের ইশারায় ২০ আগস্ট ২০২৩খ্রিঃ রোববার উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম আরা গরুর হাটটি বন্ধ করে দেন।
হৃদয় শীল, মধুখালী ,(ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ–
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.
কবিতা: অনুতপ্ত হতে হবে