স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন, বাল্যকাল থেকেই গণতন্ত্রের চর্চা-দৈনিক ভোরের বার্তা
বাংলাদেশ এবং গণতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক। ৫০ বছরের দেরগোড়ায় পা দেওয়া দেশটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বারবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একেকটি ইতিহাস।
৫৪, ৭০ কিংবা ৯০—এই প্রতিটি সালেই আমরা গেয়েছি গণতন্ত্রের জয়গান। ২০২২ সালও তার ব্যতিক্রম নয়। বরং এখন আমরা গণতন্ত্রকে প্রত্যক্ষ করছি খুব কাছ থেকেই। এই প্রত্যক্ষ করার সুযোগ আমাদের দিয়েছে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন। বর্তমান সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগগুলোর মধ্যে যা অন্যতম।
শিক্ষাজীবনের প্রাথমিক স্তর থেকেই শিক্ষার্থীদের গণতন্ত্রের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বিদ্যালয়ে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টিতে শিক্ষকদের সহায়তা করা, দক্ষ নেতা ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই এ নির্বাচনের মূল লক্ষ্য।
২০১১ সাল থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দেশব্যাপী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ নির্বাচনে প্রতিটি বিদ্যালয়ে সাতটি পদে নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য শিক্ষার্থীরা ভোট দেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ২ই মে সারা দেশে ১২তম হয়ে গেল স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন।
মুকসুদপুর ১নং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচন প্রত্যক্ষ করে দেখগেলো, এখানে ভোটারের উপস্থিতি প্রায় শতকরা ৯০ ভাগ, যা অবিস্মরণীয়! সকাল নয়টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত মহাসমারোহে সেখানে হয়েছে ভোট গ্রহণ।
বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক কৃতক
পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে আনসার বাহিনী—সবাইকে দেখাগেছে। কথা হলো নির্বাচনে বিভিন্ন পদপ্রার্থী কয়েকজন খুদে শিক্ষার্থীর সঙ্গে। বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ওরা কী করবে, তা নিয়ে তাদের ভাবনা মুগ্ধ করার মতো।
আরও কথা হলো বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্রের শিক্ষা লাভের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ সুযোগ্য দেশনেতা হিসেবে গড়ে ওঠার প্রাথমিক গুণাবলি অর্জন করবে।
এখন শুধু অপেক্ষা আর আশা—এই খুদে নেতারা একসময় দেশের হাল ধরবে, মুক্তবুদ্ধির চর্চা করবে আর দুর্নীতমুক্ত সোনার বাংলা গড়বে।
আর টি হাসানঃ
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.
কবিতা: অনুতপ্ত হতে হবে