ভোলায় ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় গাছে বেঁধে নির্যাতন-দৈনিক ভোরের বার্তা


ভোলা সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নে শ্যালিকা কে ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় মাসুদ নামে একজন কে চোর অপবাধ দিয়ে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে শরীরের ফুলা জখম করেছে সন্ত্রাসীরা।
মাসুদ ইলিশা ৬নং ওয়ার্ডের আলাউদ্দিন পাটোয়ারীর ছেলে এবং ২৩শে মার্চ রাতে ইলিশা ৬নং ওয়ার্ডের বজলুর দোকান সংলগ্ম আমির হোসেন পাটোয়ারীর বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মাসুদ বলেন, গত ২৩শে মার্চ রাত আনুমানিক ১১ টায় আমার ছোট ভায়রা ফারুক আমাকে ফোন দিয়ে বলেন আমাদের বাড়ীতে চোর এসে আপনি একটু যান।
আমার ভায়রার কথা শুনে আমি আমার শ্বশুর বাড়ীতে গেলে রাস্তায় দেখি খোকা ডাকাতের ভাই সামছুউদ্দিন, পুলিশের সোর্স ইউনুস, খোকন, রাকিব, ইব্রাহীমসহ ৮/১০জন সেখানে দাড়িয়ে আছে।
আমাকে দেখেই তারা চোর চোর বলে আটকিয়ে মারধর শুরু করে আর সামছুউদ্দিন বলে তোর শালিরে বল এখন তোকে বাঁচাতে, তুই তোর শালির লগে ঘুমাতে আসছোস এখানে।
এসব বলে আমাকে গাছের সাথে বেঁধে বেরধর মারধর করে এবং পায়ের নখ প্লাস দিয়ে উঠিয়ে ফেলে এবং আমার শ্যালিকার সামনে আমাকে সুই দিয়ে আঘাত করছে আর বলছে তুই যদি না বলিস যে তোর দুলাভাই তোর কাছে আসে নাই তাহলে ওরে মেরে ফেলবো, এই ভয় দেখিয়ে মিথ্যা জবানবন্দি নিয়ে আবার আমার স্ত্রীর কাছে গিয়ে বলছে তোর স্বামীরে র্যাব আটক করেছে বলে ৫ হাজার টাকা এনেছে ইউনুস ও সামছুউদ্দিন।
কেনো আপনার সাথে তারা এমন করলো? এমন প্রশ্নে মাসুদ বলেন আমার ছোট শালিকে মাদ্রাসায় আশা যাওয়ার পথে খোকা ডাকাতের ভাই সামছুউদ্দিন ইভটিজিং করতো, আমার শালি আমাকে বলার পর সামছুউদ্দিন কে সর্তক করেছি এজন্যই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর এমন অমানুবিক নির্যাতন করে অজ্ঞান করে রাখে এলাকার মানুষ আমাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করালে সেখানে গিয়েও ইউনুস ও সামছুউদ্দিনরা হুমকি দিয়ে আসে তাই এখন ঢাকায় চিকিৎসা করাচ্ছি।
মাসুদ আরো বলেন, আমাকে মারধরের পর বারেক মেম্বার এসেছে তিনি এসে বলে তোকে ওরা যা শিখিয়ে দিয়েছে সেটাই বলবি বলে তিনি চলে যায়।
এই ঘটনায় ভোলা থানায় একটি মামলা হয়েছে যার নং -৭২/২০৮ তবে মামলা করে আরো বিপাকে রয়েছে মাসুদ ও তার শ্বশুরের পরিবার।
আসামীরা প্রকাশে ঘুরছে আবার হুমকিও দিচ্ছে বলছে যে পুলিশ তাদের পকেটে থাকে আবার ইউনুস পুলিশের সোর্স এসব মামলা তাদের কিছুই হবে না।
অভিযুক্ত কাউকে না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মেম্বার বারেক পাটোয়ারীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সম্ভব হয়নি। ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটন বলেনআমাকে বিষয়টি পরকীয়া বলে জানিয়েছে বারেক মেম্বার সহ কিচু লোক, তবে আজকে আমি জানলাম বিষয়টি ভিন্নরকম তবুও আরো নিবিড়ভাবে জানতে ঐ এলাকায় যাবো ।
মাকসুদকে নির্মমভাবে প্রহড়করে নক উপড়ে ফেলার মত জঘন্য ঘটানা যে বা যাহারা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনার ব্যাবস্থা করা হবে । যারা মাসুদকে মেরে আইন হাতে তুলেছে তারাও অপরাধী বলে আমি মনে করি ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকতা এস আই সুবির শাহা বলেন আমি ঘটনাস্থলে গতকাল গিয়েছি তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো। ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, খুব দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।
ভোলা প্রতিনিধি
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.