মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন-দৈনিক ভোরের বার্তা


ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে মিথ্যা অভিযোগে এলাকায় নিন্দার ঝড় উঠেছে ! এ ঘটনায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মধ্যে ক্ষভের সৃষ্টি হয়ে।
এর প্রতিবাদে আজ বুধবার ২ ফেব্রুয়ারী বেলা ১২টায় আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধারা লিখিত বক্তব্য’র মাধ্যমে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
লিখিত বক্তব্য মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, যুদ্ধকালিন কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা এ.কে এম শাহ হাফিজ উদ্দিন কাদেরী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা খান মতিয়ার রহমান,বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. বহির খান ও গোপালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক রিয়াজ মুস্তাফিজ এর নাম ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কে বা কাহারা ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি/সাধারন সম্পাদক এবং বিভিন্ন দপ্তরে ”রাজাকার পুত্রকে উপজেলা সে¦চ্ছাসেবক লীগে যুগ্ন সাধারন সম্পাদক পদায়ন ”করা হয়েছে এই মর্মে মিথ্যা লিখিত অভিযোগ পাঠানো হয়েছে।
গত ৩১ জানুয়ারী কয়েকটি পত্রিকায় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে ”রাজাকার পুত্রকে উপজেলা সে¦চ্ছাসেবক লীগে যুগ্ন সাধারন সম্পাদক পদায়ন” শিরোনামে প্রকাশিত সাংবাদটি মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
সাংবাদিকরা যে অভিযোগের ভিত্তিত্বে সংবাদ প্রকাশ করেছেন, সেই অভিযোগটিতে নাম ও সাক্ষর জাল করে কে বা কাহারা দিয়েছে তা আমাদের জানা নাই। মুলত্ব ঐ অভিযোগে আমরা কোন স্বাক্ষর করি নাই।
তারা আরোও বলেন, আব্দুর রহমান গোপালপুর ইউনিয়নের পাঁচবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। ৭১’যুদ্ধকালিন সময় তার নিজ বাড়ি কামারগ্রামে স্বাধীনতার পক্ষে ক্যাম্প ছিল। তিনি প্রায় ৭/৮ মাস যাবত মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার সহ সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। যারা এই মিথ্যা অভিযোগটিতে সাক্ষর জালিয়াতি করেছে, আমরা তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী করেন।
যুদ্ধকালিন কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা এ.কে এম শাহ হাফিজ উদ্দিন কাদেরী অসুস্থতার কারনে সম্মেলনে উপস্থিত হতে না পেরে সাংবাদিকদের মুঠো ফোনে বলেন, এ অভিযোগের বিষয় আমি কিছু জানি না, কে বা কাহারা আমার নাম ও সাক্ষর জাল করেছে আমি তাদের বিচার চাই। কামারগ্রামের আব্দুর রহমান চেয়ারম্যান ছিলেন,তিনি যুদ্ধকালিন সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা খান মতিয়ার রহমান বলেন, আমি এ ধরনের কোন অভিযোগে স্বাক্ষর করি নাই। আমার স্বাক্ষর জাল করে কে বা কাহারা পাঠিয়েছে আমি তাদের বিচার চাই। এটা যারা করেছে তারা আমাদের(মুক্তিযোদ্ধা) মানসম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. এনায়েত হোসেন বলেন, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটি কুচক্রিমহল মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ও স্বাক্ষর জাল করে এই মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ আলফাডাঙ্গা শাখার আহবায়ক মো. সেকেন্দার শেখ বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ও স¦াক্ষর জালিয়াতি করে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ক্ষুন্ন করেছে। ঐ এলাকার বিরোধী স্বার্থনেষী মহল এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। এদেরকে খুজে বের করে দ্রƒত গ্রেফতারের দাবী জানান। আব্দুর রহমান দীর্ঘদিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন, তিনি যুদ্ধকালিন সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছেন ও দেশবিরোধী কোন কাজে জড়িত ছিলেন না।
গোপালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক রিয়াজ মুস্তাফিজ বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দল করি, আমি এ মিথ্যা অভিযোগে স্বাক্ষর করি নাই।দলে কিছু অনুপ্রবেশ কারীরা বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। এদের বিচারের আওতায় আনা হোক।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. বহির খান, খান আসাদুজ্জামান টুনু মো. গোলাম কবীর মো. মুন্নু খান, আ: মান্নান মোল্যা , আ: ছালাম মোল্যা , আবুল কালাম আজাদ মো. নিলু মিয়া, মো. ছলেমান মোল্যা প্রমুখ।
আরিফুজ্জামান চাকলাদার
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.