দেশের দীর্ঘতম সেতু – দক্ষিণবঙ্গে ইতিহাস বদলে দেবে যোগাযোগের মানচিত্র DBB


বাংলাদেশের অবহেলিত দ্বীপ জেলা ভোলার জন্য আসছে এক ঐতিহাসিক সুখবর। দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এ জেলার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে, বরিশালের সঙ্গে সরাসরি সড়কপথে যুক্ত হতে যাচ্ছে ভোলা।
আর এটি সম্ভব হবে দেশের দীর্ঘতম সেতু নির্মাণের মাধ্যমে, যা হবে প্রায় ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ, পদ্মা সেতুর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ!
এই মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে ভেদুরিয়া-লাহারহাট ফেরি নির্ভর যাত্রার অবসান ঘটবে। ভবিষ্যতে আর ঘন্টার পর ঘন্টা ফেরিঘাটে অপেক্ষা নয়, বরং মাত্র ৩০ থেকে ৪০ মিনিটে বরিশাল পৌঁছানো যাবে ভোলা থেকে।
সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রাথমিকভাবে ১৭ হাজার কোটি টাকা, যা পদ্মা সেতুর অর্ধেকেরও কম। এটি হবে চার লেন বিশিষ্ট এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের অটল সেতুর পরে দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু হিসেবে স্থান করে নেবে।
সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রউফ জানিয়েছেন, প্রকল্পের কাজ এ বছরেই শুরু হবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক আগ্রহও চোখে পড়ার মতো। জাপানের কনস্ট্রাকশন জায়ান্ট মিয়াগাঁও, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলোও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে বৈদেশিক সহায়তা ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনুদ্দিন ও সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফ ভোলায় এসে সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন। আগামী ২৫ বা ২৬ মে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের জাপান সফরে চূড়ান্ত হতে পারে এই ঐতিহাসিক প্রকল্পের ভবিষ্যৎ।
দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক বিপ্লব ঘটাতে চলেছে এই সেতু, যা বদলে দেবে পুরো অঞ্চলের অর্থনীতি ও জীবনধারা।
নিজস্ব প্রতিবেদন
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.