প্রতিবেশির ঘরে পান খেয়ে হারিয়ে যাওয়া মাদ্রাসা ছাত্র, ৪ দিন পরে উদ্ধার-DVB
হারিয়ে যাওয়ার ৪ দিন পরে হাফেজিয়া মাদ্রাসার ১৮ পাড়া মুখস্থ করা ছাত্রকে পান খাওয়া প্রতিবেশীর ঘর থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে। কি ছিলো সেই পানে এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ঐ ছাত্রের অভিভাবক ও এলাকা বাসীরা।
ঘটনাটি ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে সখি / সখিনার বাড়িতে। হারিয়ে যাওয়া মাদ্রাসা ছাত্রকে ৪দিন পর প্রতিবেশীর ঘর থেকে উদ্ধার করেছে প্রশাসন ও এলাকাবাসী বর্তমানে ওই ছাত্র ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চিকিৎসাধীন ওই ছাত্র জানান, আমি মাদ্রাসা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে পালিয়ে সখি/ (ছকিনা) কাকির ঘরে আসি। তিনি আমাকে বলেন তুই আমাদের ঘরে থাকবি? আমি বলি হুম। এ কথার পর তিনি আমাকে ইলিশ মাছ ভাজা দিয়ে ভাত খেতে দেন। এর পর একটি পান দিয়েছেন। পান খাওয়ার পর আমি সব ভুলে গেছি। আমাকে রাতে খাটে ঘুমাতে দিতো আর দিনে পুকুর থেকে পানি এনে ঘরের কোনায় গোসল করিয়ে কারে (পাটাতনে) ঘুমাতে দিতো।
মাদ্রাসা ছাত্রের মাতা হাসনুর বেগম জানান, আমার ছেলে আজ ৪দিন নিখোঁজ। আমরা সকল আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে খুঁজতে খুঁজতে শেষ হয়ে গেছি। অথচ আমার বাড়ীর পাশের হাবিবুল্লাহ্ এর স্ত্রী ছকিনা তার ঘরে আমার ছেলে কে লুকিয়ে রেখেছে। আজ আমরা সন্দেহ করে মসজিদের মুসুল্লিদের নিয়ে আসলে ও ছকিনা অস্বীকার করেন। পরে পুলিশ, সাংবাদিক ও মেম্বার আসলে তিনি স্বীকার করলে,ছকিনার পাটাতন থেকে নামানো হয়।
আমার ছেলে এখন অসুস্থ্য হয়ে গেছে। আমি ছকিনার বিচার চাই। এদিকে ছকিনার উপযুক্ত বিচার চেয়েছে এলাকাবাসী। অন্যদিকে ছকিনার পক্ষ নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি গ্রুপ। নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে মসজিদ কমিটির এক সদস্য জানান, ছকিনার স্বামী সহজ সরল মানুষ, তিনি বেশির ভাগই ভোলার বাহিরে কাজ করেন।
এ সুযোগে কিছু যুবক প্রতিনিয়ত ছকিনার ঘরে আসা যাওয়া করে। স্বামী স্ত্রীর মত তারা চলাফেরা করে। কেউ প্রতিবাদ করলে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিবে বলে ভয় লাগান ওই যুবকরা। পুলিশের সোর্স হিসেবে তারা এলাকায় পরিচিতো হওয়ায় সবাই দেখেও না দেখার ভান ধরেন।
অভিযুক্ত ছকিনা বলেন, আমাকে বলছে আপনি কাউকে বইলেন না, তাই কাউকে বলিনি আমি। তবে নিজের অপরাধ স্বিকার করে সখি আরো বলেন আমি করেছি আরো করবো পারলে আপনারা কিছু করেন। আমারো উপরে লোক আছে এই এলাকায় আমাকে কে কি করবে? আমি সবাইকে চিনি।
এ বিষয়ে ইলিশা ফাঁড়ির এ এস আই মাইনুল হাসান বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়েছি। ছেলের পরিবার লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শফিক খাঁন, ভোলা
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.
কবিতা: অনুতপ্ত হতে হবে