সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিলের পরেও আলফাডাঙ্গায় বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি-DVB


ঘোষণা প্রত্যাহারের পরেও উল্টো বেড়েছে চিনির দাম চিনির দাম বাড়ানোর কয়েক ঘণ্টা পর সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল,তারপরেও আলফাডাঙ্গায় বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আলফাডাঙ্গায় বাড়তি দামে চিনি কিনতে ক্রেতার ভোগান্তি বাড়ছে
সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিলের পরেও বাজারে হু হু করে বাড়ানো হচ্ছে চিনির দাম। ফলে বাড়তি দামে চিনি কিনতে ক্রেতার ভোগান্তি বাড়ছে। পাশাপাশি গত সপ্তাহের ছোলা, ব্রয়লার মুরগিও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। রবিবার আলফাডাঙ্গা পৌরসভা, গোপালপুর, বেড়িরহাট,জাটিকগ্রাম হেলেঞ্চা বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এরপর সরকারের পক্ষ থেকে চিনির দামের ব্যাপারে কোনো সাড়া দেওয়া না হলেও ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে চিনির দাম বাড়িয়ে বিক্রি শুরু করেছেন। রবিবার উপজেলার বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনি ১৪৫-১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। আলফাডাঙ্গা পৌরবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. সালাউদ্দিন বলেন, এক কেজি চিনি কিনতে যদি ১৪৫-১৫০ টাকা ব্যয় করতে হয়, তাহলে অন্যান্য পণ্য কি করে কিনব। চিনির মতো অন্যান্য পণ্যের দামও আকাশচুম্বি। যে যেভাবে পারছে দাম বাড়িয়ে আমাদের জিম্মি করে ফেলছে।
দেখারও যেন কেউ নেই।বানা বাজারে নারগিচ সুলতানা বলেন,আগে ১৪০ টাকা করে কিনতাম,আজ বাজারে দোকানদার ১৫০ টাকা চেয়েছে কয়েক দোকান ঘুরে ১৫০ টাকা দরে দুই কেজির যায়গায় এক কেজি কিনলাম।ঘোষণা ছাড়া এ ভাবে দাম বাড়ালো প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।
পৌর বাজারের মুদি পাইকারী বিক্রেতা পলাশ কুন্ডু বলেন, মহাজনেরা চিনির দাম বেশি নিয়েছে বাধ্য হয়ে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।আগে বস্তা ৬৭৫০-৬৭৮০ টাকা, প্রতিকেজি ১৩৫-১৩৬ টাকা নিতো খুচরা ১৪০ টাকা বিক্রি করতাম।এখন৭০০০ টাকা বস্তা প্রতি কেজি ১৪০ টাকা দাম ধরছে ১৪৫ টাকা বিক্রি করছি।
পৌরবাজারে পাইকারী বিক্রেতা মেসার্স পাল স্টোর প্রো. সুজিত পাল বলেন, মহাজনরা আমাদের কাছে বাড়তি দামে চিনি সরবরাহ করছে। গত শনিবার কেবি ট্রেডার্স কানাইপুর ৬৯০০ বস্তা,কেজি ১৩৮ টাকা অডার নিয়েছে। আমাদের বেশি দামে কিনতে হওয়ায় বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।
গত শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারি মেসার্স হাবিল ট্রেডার্স সহস্রাইল বাজারের মহাজনের এক মেমোতে দেখা যায় প্রতি বস্তা ৭০০০ টাকা অর্থাৎ এক কেজি ১৪০ টাকা দরে দাম ধরেছে।
হাবিল ট্রেডার্স বলেন,প্রতিদিন চিনির দাম নির্ধারণ করে ডিও মানে ডিলার। চাহিদা মতে বাজার ডিও ছাড়ে না,বাজর ক্রাইসেস করে দাম বাড়িয়ে দেয়।সরকার ডিও’র বাজার মানে ডিলার মালিক নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে সরকার নির্ধারিত দামে ভোক্তা চিনি পাবে ।তা না হলে কেন ভাবেই সম্ভব নয়।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমীন ইয়াছমীন কে বার বার অফিসিয়াল নাম্বার ফোন। দিলে তিনি রিসিভ করেননি। প্রসঙ্গ পবিত্র রমজান মাসের আগে সরকারি মিলের লাল চিনির দাম কেজিতে ২০ টাকা বাড়ানো ঘোষণার দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তা বাতিল করা হয়েছে।২২ শে ফেব্রুয়ারি দুপুরে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার স্বাক্ষরে এক চিঠির মাধ্যমে এক কেজির প্যাকেটজাত লাল চিনির নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১৬০ টাকা। আগে এ দাম ছিল ১৪০ টাকা।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) গত বৃহস্পতিবার দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নেয়। রাতে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার বা বাতিল করেছে বিএসএফআইসি।
আরিফুজ্জামান চাকলাদার
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.