ফরিদপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাডঃ জামালের সমর্থনে আ”লীগ নেতাকর্মীগন


ফরিদপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাডঃ জামাল হোসেন সমর্থনে একাট্টা হয়েছেন সালথা ও নগর কান্দার উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের বেশিরভাগ নেতাকর্মী।
বিভিন্ন কারন দেখিয়ে দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাড জামাল হোসেন মিয়াকে সমর্থন করছেন। ফলে জামালের দিকেই ভোটের পাল্লা ভারী বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু মোল্যার বাড়ী সন্ধ্যা ৭টার পর হতে অত্র ইউনিয়নের সব ওয়ার্ড থেকে আগত মত বিনিময় সভায় হাজার নেতাকর্মীগন উপস্থিত হতে থাকেন।
সময় যতই গড়াতে থাকে ততই লোকজন আসতে থাকেন শেষ পযর্ন্ত পা ফালানোর মত জায়গা অভাব দেখা দেয়। অনেকেই বলেন এতো লোক কোথা থেকে আসছে। সর্ব প্রথমে চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু মোল্লা উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন আজ আপনাদের মতামত শোনার জন্য আপনাদের ডাকা হয়েছে। তিনি একএক করে বিভিন্ন ওয়ার্ড এর নেতকর্মীদের মতামতা গ্রহণ করেন।
বাবু মোল্লা বলেন আপনারা আমাকে আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে চেয়াম্যান নির্বাচিত করেছেন, আপনারা সকল মিলে যে সিদ্ধান্ত দিবেন আমি সেই সিন্ধান্ত মেনে নিবো এবং তাকেই ভোট দিবে।
সর্ব সম্মতি ক্রমে তার দলীয় নেতাকর্মীরা দলবেঁধে যোগ দিয়ে ঈগল মার্কার প্রার্থী এ্যাড জামাল মিয়ার বিজয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন আপনাদের সিদ্ধান্ত আমি গ্রহণ করিলাম আজ থেকে আমিও জামাল মিয়ার ঈগল মার্কায় ভোট দেওয়ার প্রত্যয় করিলাম।
এবং ততক্ষনাৎ তিনি জামাল মিয়াকে উক্ত সভায় উপস্থিত হওয়ার আহবান জানান ,কিছুক্ষনের মধ্যেই সভাস্থলে জামাল মিয়া আসেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর -২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের সতন্ত্র প্রার্থী এ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া বলেন, বিভিন্ন জায়গায় শুনছি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও তার সন্ডারা বলে বেড়াচ্ছে ভোট কেটে নিয়ে যাবে, আমি বলতে চাই ভোট কাটা তো দূরের কথা কেউ যদি ভোট কাটার কথা চিন্তাও করে তার আর রক্ষা নাই।
তিনি বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমি কাউকে ভয় পাই না। সালথা নগরকান্দায় এমন কোন মায়ের পুত নেই যে আমার ভোটের গাঁয়ে হাত দেয়। এই এলাকায় আমার নাড়ী তো রয়েছে, এই এলাকার মানুষের সাথে আমার উঠাবসা ছোট বেলা থেকে। কেউ আমার ভাই, কেউ চাচা, কেউ বন্ধু কেউ ছোট বেলার খেলার সাথী। আমি কেন ওই চাটগাঁইয়ে কে ভয় পাবো।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ৮ টায় সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামান বাবু মোল্লার বাড়িতে উঠান বৈঠকে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সালথায় গত ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল যে তান্ডবের ঘটনা ঘটেছিলো সেখান অপরাধী হিসাবে দুটি বছর নিরপরাধ লোকগুলি বাড়ি ছাড়া, ঘর ছাড়া ছিলো।
যে অপরাধ করেছে সে অপরাধী কিন্তু অপরাধ না করেও অনেকে পরিবার পরিজন ছাড়া বনজঙ্গলে, দেশে বিদেশে এতিমের মতো খেয়ে না খেয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। এই জনসাধারণের দায়িত্ব কি সংসদ সদস্য ( লাবু চৌধুরীর) ছিলো না। তিনি এই অসহায় মানুষ গুলোর কথা একবারের জন্যও ভাবেননি। কেন তিনি জনগনের পক্ষে কথা বলেননি। এজন্য তাকে জনগণের আদালতে জবাবদিহি করতে হবে। আপনারা আগামী ৭ তারিখ ঈগল মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা সুযোগ সৃষ্টি করে দিবেন।
যদি আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠাতে পারেন আপনাদের ই মামলা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে ধরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে গিয়ে যেভাবে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে এই সব মামলা প্রত্যাহার করে দিব ইনশাআল্লাহ। আর দায়িত্বে থাকা সংসদ সদস্য ( লাবু চৌধুরী) কে ৭ তারিখের পর জনতার আদালতে এনে বিচার করা হবে।
উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামান বাবু মোল্লার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, সালথা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিয়া, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান মোল্লা, সালথা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী ছাব্বির আলী, রামকান্তুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশারত হোসেন।
ও আওয়ামীলীগ নেতা কাউছার ডাক্তার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার আবুল কালাম আজাদ জৈষ্ঠ পুত্র খন্দকার সুমন, আবুল হাসান মেম্বারসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠন হাজারো নেতৃবৃন্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদন
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.