ভোলায় দিনেদুপুরে রাখালদের পিটিয়ে মহিষ লুট


ভোলার বিছিন্ন গাজীপুর চরের মাঝের চরে তিন রাখালকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মহিষের বাচ্চাসহ ১০ টি মহিষ লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় ইকবাল নামে এক মহিষ মালিক দুইজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনের নামে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে গাজীপুর চরের মাঝের চরে এ ঘটনা ঘটে। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন মিঞা অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় কয়েকবছর ধরে ভোলার বিছিন্ন গাজীপুর মাঝের চরে ভোলার অনেক মহিষ মালিকরা রাখাল রেখে মহিষ লালন-পালন করে আসছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আব্দুল খালেক ও আবু নামে দুই ব্যক্তি মহিষের বাতানে হামলা চালায়।
এরপর তাদের সঙ্গে আরও ১০ থেকে ১২ জন যুক্ত হয়ে প্রায় অনেকগুলো মহিষ মেঘনায় ভাসিয়ে দেয়।এতে কিছু মহিষ মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করা হলেও বাকী ১৫ থেকে ২০ মহিষের খোঁজ পাওয়া যায়নি। দুর্বৃত্তদের হামলায় রাখাল ইকবাল ও সবুজসহ তিনজন আহত হয়।দুবৃত্তদের এলোপাতাড়ি হামলায় তিনটি মহিষের বাচ্চার পা ভেঙে যায়।
খবর পেয়ে মহিষ মালিক ইকবাল হাওলাদার, ফারুক বেপারী, নিজাম হাওলাদার ও আবুল হাসান কেরানি ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত রাখাল ও মহিষের বাচ্চা উদ্ধার করে। বর্তমানে রাখাল ইকবাল ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। জেলা পশু হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে পা ভেঙে যাওয়া মহিষের বাচ্চাগুলোর।
মহিষ মালিক ইকবাল হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্ত আব্দুল খালেক গ্যাংদের একটি গ্রুপ আছে। তারা চরে চাঁদাবাজি করে বেড়ায়। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের গৃহপালিত পশু লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন এবং তার আগের দিন ওই চরে গিয়ে আব্দুল খালেক রাখালদের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদার বিষয়টি রাখাল ইকবাল তার মালিককে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুল খালেক ও তার ভাই আবুসহ ১০ থেকে ১২ জন সোমবার সকালে চরে গিয়ে এ তাণ্ডব চালায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখাল ইকবাল জানান, অভিযুক্তরা তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে বাচ্চাসহ প্রায় ৫টি মহিষ লুট করে নেয়। মেঘানায় ভাসিয়ে দেয় আরও অনেক বড় মহিষসহ বাচ্চা।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে আব্দুল খালেকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি তার মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন মিঞা জানান, এ ঘটনায় ইকবাল নামে এক মহিষ মালিক থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে।
ভোলা সদর প্রতিনিধি
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.