সৌন্দর্য বর্ধনে ঝালকাঠির সিটি পার্ক সড়কে কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ
ঝালকাঠিতে সৌন্দর্য বর্ধণে পরিবেশ প্রেমীদের উদ্যোগে পৌর শহরে বিভিন্ন সড়কে বুধবার থেকে লাগানো হচ্ছে শতাধিক কৃষ্ণচূড়ার গাছ।
সঙ্গে আছে অন্য ফুল গাছ সহ ঔষধি গাছ। ওই দিন (বুধবার) সিটিপার্ক সড়কে আনুষ্ঠানিকভাবে চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন করেন ঝালকাঠি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির। এসময় উপস্থিত ছিলেন ০৯ নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর হুমায়ুন কবীর সাগর, ও কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপনের উদ্যোক্ততা সমাজসেবী হাসান মাহমুদ।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবী শাহজাহান মল্লিক, কাওছার হোসেন মায়েজ, কাজী মারুফ ইরান, মোস্তাফিজুর রহমান রিংকু, শাকিল হাওলাদার রনি, মেহেদী হাসান অনিম, আবির হোসেন রানা, শফিক রুবেল, সাব্বির হোসেন রানা, শেখ মিলন, ইলিয়াস, উজ্জল , রাকিব, বিথী শর্মা, সুমাইয়া সেতু প্রমুখ।
গাছ রোপনের এক পর্যায় আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির বলেন, ‘অনেক গাছ বিলুপ্ত হচ্ছে। কৃষ্ণচূড়া গাছ নেই বললেই চলে। ঝালকাঠিতে সৌন্দর্য বর্ধণে হাসান মাহমুদের এই উদ্যোগকে সম্মান জানাই। শহরের নানান সড়কে এই কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপন করা সহ পরিচর্যা করা হবে।
আশাকরি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি সুস্থ শহরে বসবাস করতে পারবে। শুধু গাছ লাগিয়েই শেষ নয়। এই গাছগুলো যাতে গরু-ছাগল নষ্ট না করে, নিরাপদে বেড়ে ওঠে এ জন্য লাগানো হচ্ছে বাঁশের তৈরি ঝুপড়ি (হুপি)। এছাড়াও নিয়মিত পরিচর্যা করা হবে।
উদ্যোক্তা হাসান মাহমুদ জানান, মানুষের উদাসীনতার কারণে অনেক ধরনের দেশজ, ঔষধি ও স্থানীয় জাতের ফুলের গাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এই জাতের গাছ লাগানোতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, গাছ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং ফুলে ফুলে শহরকে সাজিয়ে তুলতেই এই গাছ লাগানোর আয়োজন।
শহরের ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া প্রেসক্লাব হতে শহীদ মিনার পর্যন্ত সিটি পার্ক সড়ক, পৌরসভা সম্মুখ থেকে পৌর খেয়াঘাট এর বদ্ধভূমি পর্যন্ত, উদ্বোধন স্কুল সড়ক সহ এমন কিছু সড়কে শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপন করা হবে।
আগামীতে কৃষ্ণচূড়া সহ আরো কিছু গাছ যেমন তাল, কাঁঠাল, নারকেল, কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, অর্জুন, বহেড়া, হরীতকী, নিম ও আমলকী এসব বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে রোপন করা হবে। তিনি আরো বলেন, এই উদ্যোগে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই আর্থিক সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃদজ্ঞতা প্রকাশ করি। আমরা যখন থাকব না। গাছে গাছে ফুল ফুটবে। শহর ফুলে ফুলে ভরে উঠবে। তখন মানুষ হয়তো আমাদের কথা মনে করবে।’
সেচ্ছাসেবি সাব্বির হোসেন বলেন, গতবছর ব্রজনিরোধক হিসেবে প্রায় শতাধিক তালগাছ ইতোমধ্যে রোপন সহ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণও করা হয়েছে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় ঐ চারা রোপন করতে পারে। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য পর্যায়ক্রমে লাগানো হবে শতাধিক কৃষ্ণচূড়ার চারা।
ঝালুকাঠি প্রতিনিধি
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.