ভালবাসার টানে মালয়েশিয়ান তরুনী ঘর বাঁধলেন ফরিদপুরের ভাঙ্গায়
এবার মালয়েশিয়ান তরুনী ছুটে আসলেন ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। তার নাম আজি ফাজিরা বিনতে আব্দুল আজিজ। বৃহস্পতিবার ভাঙ্গায় আসেন তিনি।
খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এ দম্পতিকে একটু দেখতে বাড়িতে উৎসুক মানুষের ভিড় দেখা যায়। ওই তরুণীর স্বামীর নাম জাফর মাতুব্বর। তিনি ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের কররা গ্রামের বাসিন্দা।
সূত্রে জানা যায়, মালয়েশিয়ার দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করতেন জাফর মাতুব্বর। ওই ব্যবসা পরিচালনার সময় পরিচয় হয় আজি-ফাজিরার সঙ্গে। পরিচয় থেকে ধীরে ধীরে প্রেম এরপর ঘর বাধাঁর স্বপ্ন। সুযোগ হাত ছাড়া না করে উভয় পরিবারের সম্মতিতে করোনার সময় ২০১৯ সালে তারা মালয়েশিয়ায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। এরপর থেকে মালয়েশিয়া একসঙ্গে কাটান তিনটি বছর।
কিছুদিন আগে দেশে আসেন জাফর। স্বামী জাফরের সঙ্গে ফাজিরার আসার কথা থাকলেও বিভিন্ন জটিলতায় আসতে পারেননি । স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি দেখতে কৌতুহল জাগে ফাজিরার। বুধবার তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে জাফর মাতুব্বর তাকে রিসিভ করে পরদিন গ্রামের বাড়ি ভাঙ্গায় নিয়ে আসেন।
সাংবাদিক দের এক প্রশ্নের জবাবে মালেশিয়ান তরুনী ফাজিরা বলেন, ‘জাফর আমাকে ভালোবাসে, আমিও তাকে ভালোবাসি। বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো, অনেক আন্তরিক, শ্বশুরবাড়ির আতিথিয়তায় আমি মুগ্ধ। জাফরের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন আমার অনেক পছন্দ হয়েছে।
খাবার ও পরিবেশ ভালো লেগেছে। পরিবারের সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছেন। এখনকার মানুষের মধ্যে সম্পর্ক অনেক ভালো। বাংলাদেশের সৌন্দর্য স্থানগুলো যেমন-কক্সবাজার. কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, সোনারগাঁও। আমি ঘুরে দেখব।’
জাফর মাতুব্বর বলেন, ‘আমি মালয়েশিয়ায় ব্যবসা করার সময় ফাজিরার সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে ভালোবাসা, এরপর বিয়ে। আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক পরবর্তীতে আমরা দুই পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ করি। আমি তাকে বেড়াইতে আসতে বললে সে রাজি হয়ে আমাদের দেখতে চলে আসে।
এতে আমরা দুইজন ও আমাদের উভয়ের পরিবারের সবাই খুশি। আবার আমরা একসঙ্গে মালোয়শিয়া চলে যাব।
মো. সাখাওয়াত হোসেন, ভাঙ্গা
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.