ভোলায় উৎসবের দিন কাছে আসার সাথে বাড়ছে যাত্রীদের ভিড়


উৎসবের দিনটি যত এগিয়ে আসছে, ভিড় তত বাড়ছে ভোলার তথা দক্ষিণের জেলা গুলোর প্রবেশ দ্বার ইলিশা নৌ বন্দর সহ জেলার প্রতিটি ঘাট এবং গাড়ি ষ্ট্যান্ডে।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ভোলায় নাড়ির টানে বাড়ির পথে পা বাড়িয়েছে ঢাকা – চট্রগ্রামে কর্ম করা শ্রমজীবী ভোলার মানুষ। রাজধানী ঢাকা ছেড়ে ভোলায় আসতে নৌ রুটেই দেখা গেছে শ্রমজীবী মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
তবে আজ ভোলার উদ্দেশ্যে ঢাকার সদর ঘাট নৌ বন্দর থেকে ছেড়ে আসা নৌযানগুলো দোয়েল পাখী -১ সকাল ৭ টায়,দোয়েল পাখী -১০ সাড়ে ৭টায়,এম ভি ক্রিস্টাল ক্রুজ,সকাল পৌনে ৮টায়, একই সময়ে কর্নফুলী -৪, এবং কর্নফুলি -১৪ সকাল ৯:২০,গ্রীন লাইন -২ সকাল ৯টায় ঢাকার সদর ঘাটের নৌ বন্দর ত্যাগ করে ভোলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
চট্টগ্রামের যাত্রী সাধারণ লক্ষীপুরের মজু চৌধুরী হাট থেকে নৌযান এস টি শহিদ সুকান্ত বাবু, পারিজাত এমভি রাজ হংশ -১০ ও এসটি খিজির -৮, এসটি খিজির -৫ চলাচল করছে । ঈদ উপলক্ষে এসব নৌযান ঈদে ঘর মুখো মানুষের যাতায়াতের সুবিধারর্থে যাত্রী হলেই মজু চৌধুরী হাট ঘাট ত্যাগ করেন ভোলার ইলিশা ঘাটের উদ্দেশ্যে।
পর্যায় ক্রমে প্রতিটি লঞ্চ যথাক্রমে দুপুর ১২টা থেকে শুরু করে দুপুর ২টার মধ্যে বাড়ি আসা মানুষদের দ্রুতার সাথে বাড়ি পৌছাতে পাল্লাদিয়েই চলতে দেখা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্দা থেকে ভোলা- লক্ষীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় দেড় কিলোমিটারের মত জায়গা জুড়ে বাস এবং মাইক্রোবাস ঘরমুখো যাত্রী বহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে । ভোলার ভিবিন্ন রুটে যানযট নিরসনে জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ ও বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড দক্ষিণ যোনের সদস্যদের কন্ট্রোল সেল তৎপর রয়েছে।
তবে ইলিশা ফেরিঘাটে আজ আগের তুলনায় কম ভোগান্তিতে মেঘনা পাড়ি দিয়ে ভোলায় আসতে পারছেন যাত্রীরা। এদিকে আজ থেকে ভোলা – চরফেশন রুটের যাত্রীবাহী বাসেরও চাপ রয়েছে বেশ । ইলিশা ঘাটে বেড়েছে বাস প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও মোটরবাইকের সংখ্যা। ভোলার নিকটতম উপজেলার যাত্রী সাধারণত ইজিবাইক ও মাহেন্দ্র দিয়ে দ্রুত যাতায়াত করতে পারে বলে ইজিবাইক ও মাহেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ছে এখানে।
অন্য যেকোনো দিনের তুলনায় আজ ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই নদী পাড় হতে দেখা গেছে যানবাহন ও অন্যান্য যাত্রীদের।
বিআইডব্লিউটিসি ভোলা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক পারভেজ খাঁন ঢাকা প্রকাশকে বলেন,ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ইলিশা মজু চৌধুরী হাট নৌ রুটের সব কটি ফেরি চলাচল করছে। এপার ওপার সকল ঘাট সচল থাকায় যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না ।
বিআইডব্লিউটিসি’র এই কর্মকর্তা আরো জানান, মজু চৌধুরী হাট ঘাট থেকে আসা যাত্রীবাহী যানবাহনের চাপ এখনও কম থাকায় বাসের পাশাপাশি অপেক্ষমান মালবাহী ট্রাকও পারাপার করা হচ্ছে।
ভোলা অভ্যন্তরীন নৌ কর্তৃপক্ষের উপ পরিচালক মোঃশহিদুল ইসলাম বলেন আমাদের একটি টিম সর্বদা ইলিশা ঘাটে কর্তব্যরত রয়েছেন। তারা ঈদে ঘর মুখো মানুষের সেবায় নিয়োজিত। সকালে যে সকল লঞ্চ সদরঘাট ত্যাগ করেছেন ভোলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছেন ইতিমধ্যে সকল লঞ্চই ভোলা,ইলিশা,দৌলতখান, হাকিমুদ্দিন পৌছেগেছেন। কোন লঞ্চেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
শফিক খাঁন, ভোলা
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.