আলফাডাঙ্গা ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতির বিচারের দাবিতে মানববন্ধন-দৈনিক ভোরের বার্তা


ফরিদপুর আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারিচুর রহমান সোহানের পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার প্রতিবাদে গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোনায়েন খানের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন পালিত হয়েছে।
গত সোমবার (২১ শে নভেম্বর) বিকেলে ৪:০০ টায় মুক্তিযোদ্ধা ভবন থেকে বাজার চৌরাস্তা, উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিলও চৌরাস্তা এবং দলীয় কার্যালয় পৃথকভাবে প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলন করেছে।
বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, মো. অলিয়র রহমান নিলু মিয়া বলেন,গতকাল মোনায়েম খান কর্তৃক সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানকে রাজাকার বলে আখ্যায়িত করে চৌরাস্তায় একটি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।তার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধারা ও স্বপক্ষের লোকজন মোনায়েম খানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন।
আরও বলেন ১৯৭১ সালে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানের বাড়িতে ৪৫ জনের একটি মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প ছিলো।ক্যাম্পের যাবতীয় ব্যয় ভার ঐ চেয়ারম্যান বহন করতেন।এখনো যে সব মুক্তিযোদ্ধারা জীবিত আছে তাদের কাছে এ প্রজন্ম জানতে পারবেন।উক্ত মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আমরা সকলেই তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এদিকে হারিচুর রহমান সোহান বলেন,২৯ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী হই।আ.লীগ কার্যালয় থেকে কেন্দ্রে নামের ১ নং তালিকা ভুক্ত নিয়ে গনতান্ত্রিক পন্থায় ভোট হয়।তাতে আমি ১১ ভোট ও প্রতিদ্বন্দ্বী মোনায়েম খান ১১ ভোট পায়।
এই রায় না মেনে দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে রায় উল্টে দেওয়ার ও বিভিন্ন অপপ্রচারের অভিযোগ তুলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ও পরিবারের উপর মিথ্যা ষড়যন্ত্র করে ২০ নভেম্বর বিক্ষোভ মিছিল করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য জানতে দলীয় কার্যালয়ে গেলে এ সময় উপজেলা আ.লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম আকরাম হোসেন বলেন,দলীয় প্রার্থীদের নামের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো নিয়ে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকদের ভোট নেওয়া হয়।
তাতে সোহানের পক্ষে ১১ ভোট প্রতিদ্বন্দ্বী মোনায়েম খান ৮ ভোট পায়।এ ভোটর রায় না মেনে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপবাদ দিচ্ছে।এতে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।কেন্দ্রে নাম পাঠানোর কাজের চাপ আছে। পরে আমরা সভা ডেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোনায়েম খানের বিরুদ্ধে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, সোহানের পিতা রাজাকার ছিলেন না, শুনেছি পিস কমিটির সদস্য ছিলেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলীম সুজা, আওয়ামী সহ সভাপতি আব্দুর রউফ তালুকদার, আওয়ামী সহ -সভাপতি আসরাফ উদ্দিন তারা, আওয়ামী সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুব রহমান কচি, আওয়ামী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ কামাল আতাউর রহমান সাইক্লোন, আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. সেলিম রেজা প্রমুখ।
আরিফুজ্জামান চাকলাদার
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.