গোপালগঞ্জ মুকসুদপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ-দৈনিক ভোরের বার্তা
টাকা নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়া, জোর পূর্বক জমি দখল, নিয়ম না মেনে প্রধান শিক্ষক হওয়ার অভিযোগ উঠেছে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বরইহাটী আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার দাসের বিরুদ্ধে।
তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা। জানাগেছে ১৯৯৭ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পরে ২০০০ সালে এডহক কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ পান স্বপন কুমার দাস কিন্তু বেসরকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী একজন প্রধান শিক্ষক হতে হলে ১২ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
কিন্তু ২০০৪ সালে স্কুল এমপিও হওয়ার সাথে সাথে তিনি উৎকোচের বিনিময় প্রধান শিক্ষক হয়ে যায়। পরবর্তীতে বিষয়টি মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড জানতে পারলে তার বিরুদ্ধে ২ বার মিনিস্ট্রি অডিট হয়। তিনি সহকারী শিক্ষক হয়ে প্রধান শিক্ষকের বেতন নেওয়ায় টাকা ফেরত দিতে বলা হয়। পরে অদৃশ্য কারনে তিনি ওই স্কুলে এখনো প্রধান শিক্ষক হিসেবে বহাল রয়েছেন।
এছাড়া তিনি ওই স্কুলে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আঃ লতিপ শেখ এর ছেলে অলিউর শেখ কে অফিস সহায়ক পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে নগদ ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে আবার বে-সরকারী ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকা ফেতর দেন। কারন হিসাবে অন্য প্রার্থীর কাছে বেশি টাকা পেয়ে তাকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে।
বিদ্যালয়ে রাস্তার তৈরীর জন্য জমিদাতা ওই স্কুলের সাবেক আয়া সুফিয়া বেগম বলেন আমি স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিনা বেতনে কাজ করে আসছি পরে আমার চাকুরীর বয়স শেষ হলে প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার দাস বলেন তুমি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী যাওয়ার জন্য একটু জায়গা দাও তোমার মেয়েকে আয়া পদে চাকুরী দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন আমি ভূমিহীন হয়েও মেয়ের চাকুরীর লোভে নিজের সম্পত্তি দেয়ার পর তিনি চাকুরী না দিয়ে জমি দখল করে রাখে। অপর আরেক প্রার্থী হাফিজা আক্তারের মা আতসী বেগম জানায় ১৯ শতাংশ জমি আমার মেয়েকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার দাস স্কুলের নামে লিখে নেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ে সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক জানায় আমার স্ত্রীর চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ৬ লক্ষ টাকা দাবী করেন কিন্তু চাকুরী না দিয়ে আমাকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদের চাকুরী থেকে বরখান্ত করেছেন। এলাকাবাসী জানায় স্কুল প্রতিষ্ঠার পরে টাকার বিনিময়ে কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন তিনি এ অভিযোগ ও তার বিরুদ্ধে রয়েছে।
এ বিষয়ে স্বপন কুমার দাস জানায়, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট। মুকসুদপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শাহাদৎ মোল্যা বলেন, প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার দাসের বিরুদ্ধে নিয়োগে ঘুষ নেয়ার বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না সেটা তার ব্যাপার। তবে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে মন্তব্য করেন।
মুকসুদপুর-গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.
কবিতা: অনুতপ্ত হতে হবে