কলাপাড়ায় নদীতে ডুবে যাওয়া যুবকের মৃত্যুদেহ উদ্ধার-দৈনিক ভোরের বার্তা


পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গতকাল নদীতে মাছ ধরতে নেমে নিখোঁজ সুমন নামে ২৯ বছর বয়সী এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে কলাপাড়া ও পটুয়াখালীর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
শনিবার (১১জুন) বেলা বারটায় ২৭ ঘন্টাপর তার লাশ মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ও নীলগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বহমান হাউদের ভারানী নদী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত সুমন উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের বাদুর তলী গ্রামের মৃত শহীদুল ইসলামের পুত্র।
স্বজন ও প্রত্যক্ষ দর্শিদের কাছ থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় নিহত সুমন কিছুদিন পূর্বে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের আলীগঞ্জ গ্রামে তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসে। তিনি গতকাল ১০ জুন বেলা ৯ টায় শ্বশুর নদীতে মাছধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরবর্তিতে বাড়িতে ফিরে না আসলে খোঁজা খুজির এক পর্যায় না পেয়ে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিস কে খবর দেয়।
১০জুন বিকেলে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌছে রাত পর্যন্ত খুজে না পেয়ে ঐ দিন উদ্ধার অভিযান স্থগিত রাখে।পরদিন ১১ জুন শনিবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল আবার উদ্ধার অভিযান পরিচালনার এক পর্যায়ে নদীর উত্তর পাড় নীলগঞ্জ অংশে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত সুমনের বিষয় তার স্ত্রী তানিজলা বলেন সুমন সবার অগোচরে নদীতে মাছ ধরতে যায়।
দুপুর গরিয়ে গেলে বাড়িতে না ফিরলে খুজতে থাকে তারা। নাপেয়ে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসে কে খবর দেয়। এবিষয়ে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাষ্টার ইলিয়াস হোসেন বলেন। গতদিন খবর পেয়ে আমার টিম নিয়ে এসে বিকালেএখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করি একপর্যায়ে রাত হয়ে গেলে উদ্ধার অভিযান স্থগিত রাখি।
পরদিন ১১ জুন সকালে এসে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করি এবং সুমনের লাশ নদীর উত্তর পাড়ে ভাসমান অবস্থায় খুজে পাই।
নিহতের বোন ছাবিনা বলেন আমার ভাই ভালো সাতার জানত না এবং সে কিছুটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ছিল। তার ভাই সোহাগ ঐ একই কথা বলেন।
এবিষয়ে কলাপাড়া থানার ওসি জসিম জানান লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী পাঠানো হয়েছে। উক্ত বিষয় থানায় একটি ই ইউ ডি মামলা হয়েছে।
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.