তরমুজের বাজারে আগুন! মধ্যবিত্তরা পুড়ে ছারখার-দৈনিক ভোরের বার্তা
রমজান আর বৈশাখের খরতাপকে কেন্দ্র করে আগুন লেগেছে কালো ও সবুজ তরমুজে। যে আগুনে নিম্নমধ্যবিত্ত তো দূরের কথা, মধ্যবিত্তরাই পুড়ে ছারখার।
এক্ষেত্রে ফসলের মাঠে কৃষকের কাছ থেকে কেনার পরে পাইকারদের পাইকারি ভাব ও তদারকির অভাবের কারণে এমনটা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
দেশে মৌসুমী ফল তরমুজের বাজারে দাম আকাশচুম্বী। স্বাভাবিকের চেয়ে দাম চারগুন বেশী হওয়ায় ক্রয় ক্ষমতা ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। বিক্রেতারা রোজা ও গরমকে পুজিঁ করে তরমুজ নিয়ে তেলেসমাতি করে যাচ্ছে।আমদানি নির্ভর বিভিন্ন ফলমূল বাজারে পর্যাপ্ত থাকলেও দামের কমতি নেই এ রমযানে। নিজ দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন ফলমূলের দাম আকাশ ছোঁয়া তার মধ্যে তরমুজ অন্যতম।
গোপালগঞ্জ মুকসুদপুর বাজার ঘুরে দেখাযায় একটু বড় তরমুজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিচ ৪০০-৫০০ টাকা দরে। বাজারে দুইশো থেকে তিনশত টাকার নিচে কনো তরমুজ নাই। উপজেলার সদর বাজার, বনগ্রাম, বাটিকামারী,উজানী,জলিলপাড়,
ফুলেরপাড়,খান্দারপাড় বাজার ঘুরে দেখা যায় একই চিত্র । বিক্রেতাদের সথে কথা বলে জানাযায়, ফল ব্যবসায়ীরা রমজান মাসে সব ধরনের ফলের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি করেছে। হঠাৎ করে এসব ফলমূলের মূল্য বৃদ্ধিতে খুচরা পর্যায়ের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে বাক-বিতন্ডতার ঘটনাও ঘটেথাকে।
অভিযোগ রয়েছে, রমজান মাসের ফলের বাজার চাঙ্গা রাখতে পাবনার ফলের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ পাইকারী মহাজনরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারে দামের তাপ বাড়িয়েছেন।
এদিকে দেশী ফল তরমুজ, বাঙ্গি, বেল, নোনা ফলসহ বিভিন্ন দেশীয় ফলমূলের বাজার ব্যপক চড়া মূলে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বাজারে পর্যাপ্ত ফলের সরবরাহ থাকলেও রমযান মাসে চাহিদা বেশি থাকায় চরম সমস্যায় পড়ছেন ক্রেতা-সাধারন। খুচরা বাজারে আপেল, কমলা, আঙ্গুর, মালটা, কেনু প্রতি কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে উন্নত মানের খেজুরের দাম স্বাভাবিক থাকলেও খোলা খেজুরের মূল্য বেড়েছে।
এদিকে দশ দিন আগে যে আঙ্গুর বিক্রি হতো ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি সেই আঙ্গুর এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভোক্তারা দাবী করেন, বর্তমান বাজার দেখে মনে হয় না দেশে সরকার ভোক্তা অধিকার নিয়ে একটি দপ্তর রেখেছেন। বাজার মনিটরিং করার জন্য লোক আছে- নাকি তারা বিশেষ সুবিধা নিয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনকে তরমুজের বাজার মনিটরিং করতে দেখাগেছে। তবে মনিটরিং শেষে প্রশাসনের চোখের আড়ালে আবারো দেখা গেছে সেই একই চিত্র।
ক্রেতারা বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের অতিসত্বর বাজারের দিকে নজরদারী আরো বাড়ানো উচিত বলে মনে করছেন।
ব্যবসায়ীরা বলেন, কোন কৃত্রিম সংকট নয়, আমদানি কম থাকায় বাজার বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি স্বাভাবিক হলে কেবল বাজারে ফলের মূল্য কমবে বলে জানান। প্রসংগত কয়েকজন মাহাজন বলেন, উচ্চ দামে তরমুজ কিনে গাড়ীভাড়া,কুলি অন্যান্য খরচ সহ গ্রাম-গঞ্জে পৌঁছতে দাম বেশী পড়েযায়,সিন্ডিকেট নয়-এ কারনেই দাম বেড়েছে।
আর টি হাসান:
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.
কবিতা: অনুতপ্ত হতে হবে