বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প তদারকি করছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার স্থানীয় জনগণের দাবি পূরণে জেলাজুড়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প তদারকি করছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জীবন এখন আলোকিত হচ্ছে। উন্নয়নের অংশ হিসেবে, ডিসি শুধুমাত্র প্রথম ধাপে বাস্তবায়িত আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোর তত্ত্বাবধান করছেন না, দ্বিতীয় ধাপে শুরু হওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোও দেখছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় তিনি জেলার ভাঙ্গা উপজেলার গরুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ গঙ্গাধরদীর উত্তর পাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর আবাসন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন।
এ সময় নির্মাণাধীন আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ডিসির সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে আসেন প্রকল্পের বাসিন্দাদের অনেকেই।
ডিসি অতুল সরকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আশ্রয়ণ প্রকল্প সেই স্বপ্নের একটি রূপকল্প। এরই মধ্যে প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এবার দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে।
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল সমস্ত গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে আশ্রয় দেওয়া। আবাসন প্রকল্পে গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি। বিশেষ করে স্থানীয় জাতের ফলের গাছ লাগাতে হবে।
ডিসি অতুল সরকার বলেন, প্রতিটি সুস্থ মানুষের উচিত তার অবস্থা পরিবর্তনের জন্য কাজ করা। বাচ্চাদের পড়াশুনা করা উচিত। প্রয়োজনে একজন কর্মজীবী ব্যক্তিকে শিখতে হবে কিভাবে প্যাকেট তৈরি করতে হয়। যে কেউ তার বাড়িকে খামারে পরিণত করতে হবে।
ঝাড়ুয়া আশ্রয়কেন্দ্রে একটি মিনি গার্মেন্টস প্রকল্পের ঘোষণা দিয়ে ডিসি বলেন, প্রত্যেক নারীকে সেলাই প্রশিক্ষণ নিতে হবে। কো-অপারেটিভ বা এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গার্মেন্টসকে নিজ উদ্যোগে এগিয়ে নিতে হবে।
এ ব্যাপারে তিনি ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ডিসি অতুল সরকারের মিনি গার্মেন্টস তৈরির প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা শিরিয়া বেগম (২৮) বলেন, “আমাদের জন্য এমন প্রকল্প নেওয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। একই সাথে, ডিসি স্যার যে পোশাকের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাতে আমরা খুশি।”
উল্লেখ্য, ঝাড়ুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ গঙ্গাধরদীর উত্তরাঞ্চলে প্রাথমিকভাবে ১০৫টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে আরও বাড়ি নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও থাকবে একটি মার্কেট, একটি স্কুল, একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং একটি ধর্মীয় স্থান।
ডিসির পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএনও আজিম উদ্দিন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
নিজস্ব প্রতিবেদন
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.
কবিতা: অনুতপ্ত হতে হবে