প্রতিবন্ধী ও শিশু-বৃদ্ধ শীতার্তদের মাঝে ছায়ানীড়ের কম্বল বিতরণ-দৈনিক ভোরের বার্তা


পৌষের একেবারে শেষ শীত জাঁকিয়ে বসেছে বেশ ভালোভাবেই, ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ভাটিকানাইপুর, লক্ষীপুর ও কাশিমাবাদ ডাঙ্গীরপাড়া এলাকার এতিম শিশু এবং ৭০ উর্ধ্ব বয়সী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী শীতার্তদের আজ অন্যরকম উষ্ণতার ছোঁয়া লেগেছিলো।
শীতার্ত মানুষের মানুষের কষ্ট নিবারণে ১৫ জানুয়ারি, রোজ শনিবার বিকেলে কম্বল বিতরণ করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ছায়ানীড় পরিবার। সংগঠনের মাস ব্যাপী কম্বল বিতরণ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শীতার্তদের জন্য কম্বল উপহার নিয়ে অনেক পথ পেরিয়ে নিজেই কম্বল নিয়ে হাজির হয়েছেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোঃ ইনামুল হাসান মাসুম, এতে পর্যায়ক্রমে প্রায় ২০০ পরিবারকে ছায়ানীড় পরিবারের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে কম্বল তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
শুধু উল্লেখিত তিনটি এলাকা নয়, যাচাই-বাছাই শেষে সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে পৌঁছে যাবে ছায়ানীড় পরিবারের এ কম্বল বিতরণ কার্যক্রম। এর মাধ্যমে শতভাগ বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের পরিবারকে কম্বল ও মাস্ক-হ্যান্ডস্যানিটাইজার বিতরণ করা হলো আজ।
এর পরের পর্বটা থাকবে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষগুলোকে উপহারের কম্বল বিতরণের। এছাড়া ছায়ানীড় পরিবারের সদস্যদের হাত থেকে উপহারের কম্বল নেন হাসিমুখে ৭০ উর্ধ্ব বয়সী মুরুব্বিরাও। মানুষগুলো মনে হচ্ছে সত্যিই উষ্ণতার পরশ পেলো। এই শীতে অন্ততঃ কষ্ট পেতে হবে না এই দুইশো পরিবারের, এটুকুই প্রশান্তির।
কম্বল পেয়ে দুপায়ে স্বাভাবিক শক্তি হারানো ৭০ উর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তি মোঃ হাচেন শেখ বলেন, এইবার শীতি পরথম কম্বল পাইলাম। খুব ভালো হইছে। আমি দুয়া করছি আল্লায় তুমাগো মেলা ছুয়াব দিবি, আমাগো দিক ইটু খিয়াল রাইহো।
লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় বাসিন্দা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আহম্মদ সেখ আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে বলেন, গরীবের দিহে আপনেরা চাইয়ে দেকলেন। রাইতে ইয়েলে ঘুম আহে না। কম্বলডা পাইয়ে আরাম পামু এহন। কম্বল নিতে আসা অধিকাংশ ব্যক্তিদের এধরনের অভিব্যক্তির প্রকাশ ছিলো।
বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ছায়ানীড় পরিবারের উপদেষ্টা ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ লুৎফর রহমান, ছায়ানীড় পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ ইনামুল হাসান মাসুম সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মোঃ ইনামুল হাসান মাসুম, ফরিদপুর:
দৈনিক ভোরের বার্তা
About Author
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.