সরকারি ঘরের আকুতি পূরণের অপেক্ষাই এখন “সবুরার” স্বপ্ন

শফিক খাঁন, ভোলাঃ
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুরের ৫নং ওয়ার্ডের মৃত রতন সর্দারের স্ত্রী সবুরা (৭০) এর আকুতি যেন সেই “আসমানী ” কবিতার আসমানীদের হার মানায়। এমন একটি জরাজীর্ণ ছোট চালা কুঠিরে বাস করেন সবুরা বেগম।
রাক্ষুশে মেঘনার কড়াল থাবায় রামদাশপুরের এক খন্ড আবাস ভূমি বিলীন হয়েছে ৫ বছর পূর্বে। স্বামি মৃত্যুর পরে জম্মান্ধ দুই ছেলে ইব্রাহিম ও ইউনুচ কে নিয়ে পরের জমিতে বসবাস করতেন রামদাশপুরে ।
মেঘনার ভাঙ্গনের কবলে পরে আবার জায়গার সহায়তা মিলে রাজাপুরের ৫নং ওয়ার্ডের চর মনসায় , কিন্তু ঘরের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি কেউ।
এমনি আকুতি করে সবুরা জানান, ‘তাঁর ছেলে ইব্রাহিম (অন্ধ) ভিক্ষা করে আমাদের খাদ্য যোগায় সে একা চলতে না পারায় তার স্ত্রী তাকে পথ দেখিয়ে ভিক্ষার কাজে সহায়তা করেন। তারা স্বামী স্ত্রী সকালে গ্রামে যায় আমাকে ও শিশু নাতি নাতনিদের রেখে রাতে এসে রান্না করলে খাইতে পারি ।
খাদ্যের সন্দ্বানে আমাদের রেখে যান তারা। কিন্তু এখন বর্ষাকাল একটু বৃষ্টি হলেই ঘরে আর থাকা যায়না তখন আমি নাতি নাতনিদের নিয়ে পাশের বাড়িতে যাইয়া থাকি বলে জানান সবুরা।
কান্না জড়িত কন্ঠে সবুরার আকুতি শুনেছি, ‘শেখের বেটি অসহায়দের ঘর দিছে আমাকে একটি ঘর দিলে বৃদ্ব বয়ষে নিজের একটা ঘরে শুয়ে মরে গেলেও সুখি হতাম।জননেতা তোফায়েল আহাম্মেদ স্যারের কাছে আমার জীবনের শেষ ইচ্ছা পুরনে একটি দাবি, আমরা অন্দ্ব আমরা ভিক্ষুক ভিক্ষা হিসেবে আমাকে একটা ঘর দেন।‘
এদিকে সবুরার প্রতিবেশিরা বলেন, রাজাপুরে অনেক বিত্তবানরা সরকারী ঘর পেয়েছেন কিন্তু এই অন্ধ ভিক্ষুক পরিবারকে একটি ঘর দিলে তারা উপকৃত হতো। প্রকৃত পক্ষে এ পরিবারটি প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার ঘর পাবার যোগ্য বলে আমরা মনে করি।
সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ যেন এই হতদরিদ্র পরিবারটির দিকে দৃষ্টি দিয়ে একটি ঘরের ব্যাবস্থা করে তাদের দুঃখ দুর্দশা দূর করেন আমরাও সেই আবেদন রাখি।
দরিদ্র সবুরাদের বিষয়ে ঐ ওয়ার্ডের ইউ,পি,সদস্য ইমাম হোসেন বলেন দরিদ্র সবুরাকে একটি সরকারি সহায়তার ঘর দিলে তার দুঃখ দুর্দসার অবসান হবে। আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো বিষয়টি সুবিবেচনা পুর্বক ব্যাবস্থা গ্রহন করা যেতে পারে।
রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানুর রহমান খাঁন বলেন, আপাদত রাজাপুরে সরকারি সহায়তার ঘর নেই পরবর্তিতে আসলে তাদের একটি ঘর দেব ইনশাল্লাহ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, অসহায় বৃদ্ধা আমার কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ আবেদন করলে একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দিবো।