রাজাপুরে গরু সহ চোর দেলু আটক-কেটে পড়েছেন সহযোগী আরিফ

ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গরু চোরেরা। তাদের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকার মানুষ। প্রতিরাতেই কোনো না কোনো এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল।
গত মাসে বেশ কয়েকটি গরু চচুরি হয়েছে এঅঞ্চল থেকে। গভীর রাতে গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি করে নম্বরবিহীন পিকাপ গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায় চোরেরা। আর এসব ঘটনায় খুব কম সংখ্যক মামলাই রেকর্ডভুক্ত হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিমত।
অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তরা প্রতিকার পাবেন না এ আশংকা বা পুলিশি হয়রানির ভয়ে থানায় অভিযোগও দেন না। ফলে চোরের দল পার পেয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে। পুলিশের নজরদারির অভাব আর রাত্রিকালীন টহল না থাকার কারণে চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ সাধারণ কৃষকদের । সংঘবদ্ধ চোরের দল নানা কৌশলে চুরি করে যাচ্ছে।
যাদের গরু আছে তারা রাত জেগে পাহারা দেয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার রাজাপুর এলাকার সাধারণ মানুষ ২ একটা গরু পুষে আবার বিক্রি করে পরিবারের খরচের টাকা যোগায়। কৃষি নির্ভর পরিবারগুলো গরু দিয়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
আর গরু চোরেরা যখন এসব মূল্যবান গরু চুরি করে নিয়ে যায় তখন হতদরিদ্র এসব পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়ে। রাতের বেলায় যেসব সড়কে আলো থাকে না কিংবা অনেকটা নির্জন ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ উন্নত বিশেষ করে সে সব এলাকায় চুরির ঘটনা বেশি ঘটছে।
ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক ব্যক্তি জানান, গরুর ঘর থেকে রশি কেটে অথবা খুলে গরু গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। রাতে গাড়ির ভেতরে গরু দেখলে আটক করতে ভয় পায় জনতা। কারণ পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয়।
ফলে কাউকে আটক করা হয় না,তবে আজকের চুরি হওয়ার ঘটনা কৌশলে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে রাজাপুরের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানুর রহমান খাঁনের সহায়তায় গরুসহ চোরদের আটক করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানান গরুর মালিক পরিচয় দানকারি ইউসুপ।
গতকয়েক মাস ধরে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় অর্ধশত গরু চুরি হয়েছে বলে চেয়ারম্যানের বাড়িতে হাজির হন গরুর মালিকরা। তবে আটক গরু চোর দেলু বলেন আমি আজকের দুটি গরুসহ গত দুমাসে মোট ৭টি গরু চুরি করেছি।
তবে আমি একা নই এ চক্রে আমাকে সহায়তা করার জন্য আরিফ প্রধান, আরিফ এ গরুদুটি আমাকে গাড়িতে তুলে দিয়েছে আমি গাড়ি চালক সাহাবউদ্দীন কে সহ গরুনিয়ে বাপ্তা বাসষ্ট্যান্ডের কশাই মহিউদ্দীন কে দেই। আমি ও আরিফ দুজনই ধরা খাই কিন্তু আরিফ এখান থেকে কি উপায়ে মুক্তি পেয়েছে জানিনা।
সম্পৃতি চুরি হওয়া গরুর মধ্যে রয়েছে মনসা ৫ নং ওয়ার্টিডের সিরাজ সর্দারের ১টি, ইউসুব এর ২টি, একই এলাকার বাকপ্রতিবন্ধির ১টি, এগুলো দেলু চক্র নিয়েছেন বলে স্বীকার করেন দেলু তবে এ নিয়ে আরিফ তাকে এই এলাকা ছাড়াও চুরি করে ৫টি গরু দিয়েছেন বলে জানান দেলু। দেলু রাজাপুরের ৫নং ওয়ার্ডের সাহেদ চৌকিদারের ছেলে।
আরিফ একই এলাকার টমটম চালক টমটম চালনার আড়ালে গরুচুরি চক্রের সাথে জড়িত বলে জানান আটক দেলু। আরিফ ও আমি গরু বিক্রি করা টাকা সমান সমান ভাগে নেই বলেন দেলু।
তবে অভিযুক্ত আরিফের দেখা মিলেনি। উদ্ধার হওয়া গরু ২টি গরুর মালিক হযরত আলির জিম্মায় রেখে গরুচোর দেলুকে বিক্ষুদ্ধ জনতার প্রহরে আহত হওয়ায় চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানান ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সরকার রনজিৎ।
গরু চুরি হওয়া প্রসঙ্গে ভোলা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এনায়েত হোসেন বলেন, থানায় গরু চুরির কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে,এবং আজকের গরুসহ চোর আটকের বিষয়ে প্রচলিত আইনে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবেৎ
শফিক খাঁনঃ