মরণ ফাঁদে পরিনত ভোলার রাজাপুরের ২১কিঃমিঃ রাস্তা

কোথাও পিচ উঠে খোয়া বের হয়ে আছে। কোথাও পিচ-খোয়া দুই-ই উঠে গেছে।
দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ভোলার রাজাপুরের রোদ্রেরহাট বাজার থেকে শান্তিরহাট হয়ে ক্লোজার বাজার, শান্তির হাট বাজার থেকে তুলাতলি বাজার হয়ে ক্লোজার বাজার ১০ কিঃমি, রাজাপুরের মেইন সড়ক থেকে চরমোহাম্মদ আলি প্রাঃবিদ্যালয় পর্যন্ত, ৩কিঃমিঃ,জনতা বাজার থেকে কোড়ালিয়া স্কুল পর্যন্ত ৩ কিঃমিঃ আনন্দ বাজার সড়ক ৩ কিঃমিঃ ও রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনের রাস্তাটি ২কিঃমিঃ মোট ২১ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা।
এইর২১ কিঃমিঃ রাস্তা দিয়ে যানবাহন দূরের কথা, হাঁটাও কষ্টকর।এলাকাবাসী বলেন, উপজেলা সদর সহ এলাকার হাট বাজারে যেতে একে তো খানাখন্দ আরো ধুলো তে চলাচল খুবই কস্টসাধ্য।
২০১২ সালের পর আর সড়কগুলো মেরামত করা হয়নি। এমনিতেই সড়কগুলো অপ্রশস্ত তার ওপর পিচ-খোয়া উঠে গেছে। বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকার জনসাধারণের ।
স্থানীয়রা বলেন সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে ভোলা উপজেলা সদরে পৌঁছাতে যে সময় লাগে, ততক্ষণে নৌপথে লক্ষিপুর যাওয়া সম্ভব।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ফারুক,কবির,হোসেন, বশির বলেন, ‘রাস্তা বেহালের কারণে গাড়ি চালাতে চাই না, তবে সংসারের কথা চিন্তা করে কষ্ট করে গাড়ি চালাচ্ছি ঠিক কিন্তু যাত্রী উঠতে চায়না । কারন হিসবে তারা বলেন উঠবেই বা কেন খানা খন্দের কারনে বার বার নামতে হয়।
রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজান খাঁন বলেন, সদরের সবচেয়ে বেশি ভাঙাচোরা রাস্তা আমার ইউনিয়নে। তিনি সড়কগুলো সংস্কারে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা করেছি বলেন । খুব সিগ্রই রাস্তাগুলো সংস্কার হবে বলেও জানান তিনি
শফিক খাঁন
দৈনিক ভোরের বার্তা