ভুল চিকিৎসায় ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীর মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ভুল চিকিৎসায় ষষ্ট শ্রেণীর ছাত্রীর করুন মৃত্যু অভিযুক্ত চিকিৎসক সহ ৩ সহযোগী গ্রেফতার।
নাসিরনগর আধুনিক হাসপাতালের উত্তর পূর্বাশে আফনান মেঘনা মেডিকেল সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় নাসরিন আক্তার (১৩) নান্মী ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীর মৃত্যু ঘটেছে। মৃত্যুবরন কারি নাসরিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের নুরপুর আলগবাড়ির আনোয়ার হোসেনের পাঁচ সন্তানের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান।
মৃতের মা রাশেদ বেগম জানায় – আমার মেয়ে স্কুলে পড়াকালীন সময়ে পায়ে আঘাত প্রাপ্ত হলে তাকে সু চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাই। দীর্ঘ ১৬ মাস চিকিৎসা শেষে সে সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে আসে। সে নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ছিলো।
ঘটনার দিন ৩ অক্টোবর শনিবার স্কুল থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে করোনাকালীন কারনে ঘরে বসে পরীক্ষা দেওয়ার নিমিত্তে বাড়ি ফেরার পথে আফনান মেঘনা মেডিকেল সেন্টারের ডিপ্লোমা ইন মেডিসিন এন্ড সার্জারির মোঃ নজরুল হোসেনের সাথে পায়ের চিকিৎসা ও পায়ে স্থাপিত রড খুলে নেওয়া প্রসঙ্গে বুঝতে যায়।বিস্তারিত শোনে মোঃ নজরুল জানায় এটা কোন ব্যাপার না মাত্র ২০,০০,০/-(বিশ হাজার টাকা) দিলে তিনি চিকিৎসা করে দেবেন। সেই হিসেবে তাকে ৮০০০/- টাকা নগদ পরিশোধ করা হয়। চিকিৎসার জন্য নাসরিন কে মেডিকেল বেঞ্চে শোয়ানোর কিছুক্ষণের ভেতর ভুল বশতঃ পায়ের রগ কেটে ফেলে মোঃ নজরুল হোসেন।
ভূল চিকিৎসার কারনে রক্ত ক্ষরন বন্ধ করতে না পারায় সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার দিকে মর্মান্তিক মৃত্যুর কবলে ঢলে পড়ে নাসরিন। নাসরিনের শোকাহত মা রাশেদা বেগম আরো জানায় ডাঃ ইসরার কামাল তার মেয়ের চিকিৎসা বাবদ ৩০০০০/-(ত্রিশ হাজার টাকা) লাগবে বলেছিলো। কিন্তু টাকার লোভে নজরুল বলেছিলো এত টাকা লাগবেনা। তার চেয়ে অল্প টাকায় আমি কাজ করে দেবো। মেয়ের মৃত্যুর জন্য নজরুল হোসেন কে দায়ী করে বিচার চেয়েছেন শোকাহত মা রাশেদা।
এদিকে খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে জনতার মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।জনতা খুব দ্রুত প্রতিষ্ঠানটি ঘেরাও করে ফেলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নাসিরনগর থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করতে সক্ষম হয়। পরে মোঃ নজরুল হোসেন ও নার্স সহ দুই সহযোগী কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মোঃ রিয়াজুর রাশিদ রুবেল, নাসিরনগর প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।