ধুলোয় স্বাস্থ্য ঝুকিতে ভোলার রাজাপুরের মেঘনা পারের বাসিন্দারা

ভোলা শহরকে রাক্ষুশে মেঘনার ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষার জন্য মাননীয় এম পি জননেতা তোফায়েল আহাম্মেদ এর নিরলশ প্রচেষ্টায় ইলিশায় সিসি ব্লকের কাজ চলমান।
ইলিশা ফেরীঘাট থেকে রাজাপুর ভেরিবাঁধ পর্যন্ত ব্লক স্থাপনের কাজ হলেও কর্তৃপক্ষের হেয়ালিপনায় ভেরিবাঁধের পাশে বসবাস করা পরিবার গুলোকে ধুলোর রাজ্যেই বসবাস করান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান । তবে দৃষ্টিনেই পওর ভিবাগের।
রাজাপুর অংশের ব্লক নির্মাণের কাজ চলছে ব্লক নির্মাণের জন্য আশপাশের স্থানে স্তূপ করে রাখা হয়েছে বালু। ভেরিবাঁধটি কাঁচা মাটিতে তৈরি থাকায় শুকনো মৌশুম থাকায় পুরো ভেরিটি যেন ধুলোর স্তুপ। নির্মান কাজের সরঞ্জামাধি বহন করতে এই এলাকা দিয়ে এখন দিনরাত যানবাহন চলাচলের সময় ধোঁয়ার মতো ধুলো উড়ছে।
ধুলায় ধুলায় সড়কের দুই পাশের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। হাজারো শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের ধুলাবালির মধ্য দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দু মাসের অধিক সময় ধরে ধুলোর রাজ্যে বসবাস করছেন তারা। ধুলায় ধুলায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন স্থানীয় বসবাসকারি ও পথচারীরা।
গতকাল শনিবার দুপুরে ঘুরে দেখা গেছে, যানবাহন চলাচলের সময় ধোঁয়ার মতো ধুলাতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে এলাকা। একসঙ্গে অনেকগুলো গাড়ি যখন স্থান অতিক্রম করছে, ধুলা কুয়াশার মতো গাঢ় হয়ে উড়তে থাকে। বাড়ি গুলোর টিনের চালা,দোকানের কাচ, মালামালসহ আসবাবপত্রে ধুলার স্তর জমে গেছে।
শিক্ষার্থী, পথচারীদের অনেকেই নাক বন্ধ করে সড়কটি অতিক্রম করছেন। এখানে ধুলা নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেই। দু-একটা বাড়ির সামনে নিজ উদ্যোগে পানি ছিটিয়ে সাময়িক ধুলা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু অসংখ্য লড়ি চলাচল করায় কিছু সময়ের মধ্যেই স্থানটি আবার ধুলায় একাকার হয়ে যাচ্ছে।
রাজাপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা গতকাল ভোলার বাণী কে বলেনএত ধুলা ধুলার কারণে দুই দিনে সর্দি হয়ে গেছে।’ স্থানীয় তাজল সর্দার ও বিল্লাল বলেন, পল্লী এলাকায় এ রকম একটি স্থান অনেক ঘন বসতি এখানে, এখন সব সময় আমাদের ধুলার মধ্যে থাকতে হচ্ছে। ধুলার কারণে সুস্থভাবে বসবাস করা মুশকিল হয়ে পড়ছে।
এখানে যদি দিনে অন্তত একবার পানি ছিটানোর ব্যবস্থা হতো, তাহলে হয়তো এত ধুলাবালি হতো না। ধুলার কারণে মানুষ শুধু অতিষ্ঠ নয়, অসুস্থও হয়ে পড়ছে।’ এ বিষয়ে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকতা মান্নান জানান কাজ শেষের দিকে তবে ধুলো যেন না উড়ে স্থানীয় জনসাধারণের সমস্যা না হয় সে বিষয়ে আমি তাদের বলে দিব।
শফিক খাঁনঃ