ধর্মপাশায় কাশেমী ও চরমোনাই কে কটুক্তি করে ফেইসবুকে পোস্ট করায় ইমামকে চাকরিচ্যুত

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়ন এর গাবী গ্রামের বনগাবী জামে মসজিদের ইমাম হাসান মাহমুদ উসমানী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় দেশবরেণ্য হক্কানি আলেম আল্লামা নূর হোসাইন কাশেমী, চরমোনাই পীর ফয়জুল করীম সহ, হক্কানি আলেমদের ও সরকার কে অপবাদ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে স্টেটাস দেন প্রায় সময়ই।
তার ফেইক আইডি (কবি কন্ঠ) থেকে সরকার কে অবৈধ ও স্বৈরাচার সরকার এবং স্বাধীনতা বিরুদ্ধের অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের পক্ষে কথা না বলা এবং শহিদ না বলায় চরমোনাই পীর ফয়জুল করীম কে ধর্ম ব্যবসায়ী জাহাজ বাবা দরবারি আলেম বলেছেন, এবং আল্লামা মরহুম নূর হোসাইন কাশেমী সাহেবকেও লেবাসধারী আলেম বলে আখ্যায়িত করেছেন।
এছারাও তার ফেইক আইডি (কবি কন্ঠ) তে স্বাধীনতা বিরুধি ব্যক্তিদের প্রশংসা ও সরকারের সমালোচনা করে অনেক পোস্ট রয়েছে।তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলা তারাইল উপজেলার তারাইল গ্রামে।
০৫-০১-২০২১ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়ন এর গাবী গ্রামের বটতলা বাজারে ডাক্তার সামসুল হক এর ফার্মেসীতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রায় শতাধিক আলেম উলামা সহ মুসলিম জনতা হাজির হন পড়ে গ্রামবাসীর কাছে মসজিদের ইমাম হাসান মাহমুদ উসমানী এর বিভিন্ন অসন্তোষজনক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে মিটিংয়ে বিচারের দাবি জানান,গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে আগত আলেম উলামাদের উপযুক্ত সম্মান রেখেই গ্রামবাসী ইমামের কর্মকাণ্ডে তারা দুঃখ প্রকাশ করেন, এবং ইমাম কে মসজিদ থেকে বিদায় দিবেন বলে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন এবং মিটিং শেষ হবার সাথে সাথেই ইমাম হাসান মাহমুদ উসমানী কে মসজিদের ইমামতি ও মহল্লা থেকে বিদায় করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা উলামা পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি মুফতি আশরাফ আলী, সহসভাপতি মুখলেছুর রহমান,বাদশাগঞ্জ ইসলামিয়া মাদ্রাসার মুহতামীম মাওলানা আমিনুল ইসলাম,গাবী হিফজুল কোরআন আশরাফীয়া মাদ্রাসার মুহতামীম হাফেজ আবুল বাশার , উস্তাদুল হুফ্ফাজ হাফেজ নাসির উদ্দীন , হাফেজ মাওলানা আনোয়ার হোসেন, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আজিজুর রহমান, মাওলানা শাহনুর আলম, মাওলানা মোজাম্মেল হক, মাওলানা মাহবুবুর রহমান মজনু , মাওলানা উমর ফারুক,মাওলানা ফয়সাল আমীন, মাওলানা মুতাহার।
আরো উপস্থিত ছিলেন, সেলবরষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন শাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন শাহ, ইউপি সদস্য শাহজান মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য আলী হোসেন,এবিএম অলিউর রহমান,আবু তালেব, গুলাম কাদির, জয়নাল মিয়া,মসজিদ কমিটির সভাপতি শান্ত রহমান, সেক্রেটারির সামসু মিয়া প্রমুখ।
হাসান মাহমুদ উসমানী তার ফেইসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বলে স্বীকার করে গ্রমাবাসীর সিদ্ধান্ত কে মেনে নিয়ে আর কোন মন্তব্য করতে চাননি।
সেলবরষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন শাহ বলেন আমরা গাবী গ্রামবাসী ইমাম হাসান মাহমুদ উসমানী এর এইরকম কর্মকাণ্ডে লজ্জিত আগত আলেম উলামাদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা এতজন আলেম একসাথে আমাদের গ্রামে এসেছেন আমরা গ্রামবাসী ধন্য।
বাদশাগঞ্জ ইসলামিয়া মাদ্রাসার মুহতামীম মাওলানা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমিও গাবী গ্রামের বাসিন্দা তাই বেশ কিছু দিন যাবত আমি ইমামের কর্মকাণ্ডের কথা শুনে আসছি সমস্ত উপজেলা আলেমদের সাথে আমার পরিচয় থাকায় অনেক আলেম উলামাগন আমাকে মোবাইল করে ইমামের কর্মকাণ্ডের বিষয় বিচার দেন এবং প্রতিবাদ করবেন বলেন, তাই আমি আমার গ্রামের ইমাম বিদায়, উনাকে বেইজ্জতি না করে গ্রামবাসীকে অবহিত করি তাই আজ এই মিটিয়ে ইমামের কর্মকাণ্ড উপস্থাপন করি গ্রামবাসীর সর্বসম্মতিক্রমে ইমাম কে বিদায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেন বলেন এবিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি আসলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।
মোবারক হোসাইন, ধর্মপাশা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ।