কলাপাড়ায় জমির মূল্য বৃদ্ধির কারনে ভোগ দখলীয় জমিতে জালিয়াত চক্র

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দীর্ঘ ৫৫ বছর ধরে ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় ফসলীয় জমি, বাড়ি পুকুর ও কবরস্থান ভূমি দস্যু, ও জালিয়াত চক্রের হাত থেকে রক্ষার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী মোঃ আবু সাঈদ হাওলাদার।
শনিবার সকাল ১০ টায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ক্লাবের হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। দলিল মূলে ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করে আসলেও কতিপয় চিহ্নিত ভূমি দস্যুরা স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আতাত করে ভূয়া মালিকানা দাবী করে দীর্ঘদিন যাবৎ হয়রানী করার অভিযোগ রয়েছে। চিহ্নিত ভূমি দস্যুদের হুমকীর মুখে আবাদী জমি এখন অনাবাদি রয়েছে বলে জানা যায়।
লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, কলাপাড়া উপজেলার ২ নং টিয়াখালী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত মোঃ চানমিয়া হাওলাদারের পুত্র মোঃ আবু সাঈদ হাওলাদার ৫৫ বছর ধরে পত্রিক ক্রয়কৃত সম্পত্তি ওয়ারিশ সূত্রে ভোগদখল করে আসছে।
তৎকালিন সময়ে ছোটবালিয়াতলী মৌজার দুটি খতিয়ানের ১৪.২৫ একর জমি মূল রেকর্ডীয় মালিকের ওয়ারিশ ও ক্রমওয়ারিশদের নিকট হতে ৮ টি দলিলের মাধ্যমে খরিদ করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাড়ী, ঘড়, পুকুর ও কবরস্থান হিসাবে ব্যবহার করে আসছে। বাকী নাল ভূমিতে চাষাবাদ করে ফল ফসলাদী উৎপন্ন করে দীর্ঘ ৫৫ বছর ধরে একক মালিক হিসাবে ভোগদখল করে আসছে।
কিন্তু বর্তমানে উক্ত ভূমির মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় স্থানীয় চিহ্নিত ভূমি দস্যু আসলাম হাওলাদার, মালেক গাজী, ফয়সাল মেলকার, মুসা ফরাজী, আউয়াল হাওলাদার, রুবেল সিকদারদের কু-নজরে পড়ে।
তারা পার্বত্য চট্রগ্রাম, বান্দরবন ও বার্মা হতে কয়েকজন মার্মা সম্প্রাদয়ের লোকদের উক্ত জমির ভূয়া পাওয়ার অফ এর্টোনি ও মিথ্যা বায়না পত্র সৃষ্টি করে অভিযোগকারীকে বিভিন্ন ধরনের হয়রানী করে আসছে।
উক্ত ভূমি দস্যুরা স্থানীয় প্রশাসনের সাথে অবৈধ পন্থায় আতাত করে রাখাইন সম্প্রদায়ের ভূমি মার্মা সম্প্রাদায়ের নামে করার পায়তারা চালাচ্ছে। ফলে, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্মরনাপন্ন হলেও কোন ফল পাওয়া যায়নি।
উপরোন্ত, অভিযোগকারীর ভোগদখলীয় ভূমি রাখাইন সম্প্রদায়ের ভূমি হওয়া স্বত্বেও বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেই ভূমি মার্মা সম্প্রদায়ের লোকদের বিক্রি করার অনুমতি দেয়। যা রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইনের ৯৭ ধারার পরিপন্থি।
কেননা রাখাইন সম্প্রদায়ের ভূমি মার্মা সম্প্রদায়ের লোকের প্রাপ্তির কোন সুযোগ নেই। অথচ, ভূমি দস্যুরা স্থানীয় প্রশাসনকে দিয়ে সে কাজটিও অবৈধভাবে করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে, দীর্ঘদিনের আবাদী ভূমি অনাবাদি রয়েছে ও উক্ত ভূমি নিয়ে আইন শৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অভিযোগকারী আরোও বলেন, উল্লেখিত জমির বিষয়টি নিয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনকে জানালে তিনি কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি সুরাহা করার কথা বলেন।
অথচ জেলা প্রশাসনের আদেশকে উপেক্ষা করে অজানা কোন কারনে বর্তমান কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক বিষয়টি কোন সূষ্ট সমাধান না দিয়ে বরং উক্ত ভূমি দস্যু ও তার সঙ্গীদের জমি বিক্রির অনুমতি বহাল রাখে ও অভিযোগকারীকে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কোর্টে মামলা করার কথা বলেন।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মোঃ আবু সাঈদ হাওলাদার সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।
নয়নাভিরাম গাইন নয়ন , কলাপাড়া প্রতিনিধি, পটুয়াখালী।