কলাপাড়ায় কৃষক সমিতির উদ্যোগে তৃতীয় দফায় কৃষক সমাবেশ

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপন্যের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ , প্রতিটি ইউনিয়নে ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করে।
কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান,চাল ক্রয়,স্লুইস গেট ব্যাবস্থাপনায় কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষন করা,পুরনো পদ্ধতির দারীপাল্লা এবং ৪৬ – ৪৮ কেজীতে ধান ক্রয় বন্দের দাবিতে তৃতীয় দফায় কৃষক সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি টিয়াখালী ইউনিয়ন শাখা।
৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় পৌরশহরের চৈয়াপাড়া চৌরাস্তায়এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে কৃষক,শ্রমিক সহ শতাধিক মানুষের
পস্থিতি ঘটে।প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী এই সমাবেশে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি টিয়াখালী ইউনিয়ন শাখার আহবায়ক মাকসুদ তালুকদার এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃরাজিব হোসাইন,
মোকসেদ বাংলাদেশ কৃষক সমিতি টিয়াখালী ইউনিয়ন শাখা। সমাজ সংগঠক নয়নাভিরাম গাইন (নয়ন) আহবায়ক নীলগঞ্জ ইউনিয়ন কৃষক
সমিতি,সহকারী শিক্ষক আতাজুল ইসলাম ফরিদগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রভাষক রফিকুল ইসলাম আহবায়ক বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখা।সম্পাদক মোঃ নাসির তালুকদার বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি ও আহবায়ক নাগরিক উদ্যোগ কলাপাড়া উপজেলা শাখা।
আহবায়ক জিএম মাহবুবুর রহমান বাংলাদেশ কৃষক সমিতি নীলগঞ্জ ইউনিয়ন শাখা, বিশিষ্ট নেতা খান মোঃ মতিউর রহমান বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) সমাবেশে বক্তারা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ফসল ক্রয়, ন্যায্যমূল্যে সময় মতো সারবীজ,কিটনাষক।
এবং সুবিধা ভোগী দালালের দৌরাত্ব,পানি নিষ্কাশনের স্লুইসগেট সংস্কার করে কৃষকের তত্যাবধানে রাখা সহ নানামুখী দাবি তুলে ধরেন।এসময় বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে সহ সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক পরিমাপ পদ্ধতি ৪০ কেজিতে ১ মন।বাজারে আলু পটল হতে শুরু করে।
সমস্ত পন্য ৪০ কেজিতে ১ মন হলেও ধান ক্রয়ের ক্ষেত্রে ৪৬ – ৪৮ কেজিতে ১ মন। এসমস্ত প্রতারনা থেকে কৃষক কে বাঁচাতে পুরনো পদ্ধতির হাত মাপা দ্বারী পাল্লা দিয়ে ধান মাপা বন্দ করে এবং ডিজিটাল মিটারে মেপে ৪০ কেজীতে ধানের মন নির্ধারন করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের এগিয়েএসে দ্বায়িত্ব শীল ভূমিকা পালন করার দাবি জানান।
সর্বশেষ সভাপতি’র বক্তৃতার মধ্যদিয়ে এ-ই সমাবেশের মুলতুবি ঘোষনা করা হয়।
নয়নাভিরাম গাইন ( নয়ন) কলাপাড়া,পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।