ইলিশার জংশন বাজারে ভয়াবহ আগ্নিকান্ড- নৌ থানা সহ ২০ দোকান ভস্মীভূত

ভোলা সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নের জংশন বাজারে তৃতীয় বারের মত আগুণ লেগে প্রায় ২০টির মত দোকান সহ নৌ থানার একাংশ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আগুনে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টায় এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ভোলার ফায়ারসার্ভিস ১ঘন্টার মত চেষ্টা চালিয়ে আগুণ নিয়ন্ত্রণ করেন।
এদিকে আগুণে নৌ পুলিশের থানার একাংশ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেন নৌ ওসি সুজন পাল। ব্যবসায়ী কালিমুল্লাহ্ জানান,হঠাৎ আগুণ লেগেছে কিন্তু কি ভাবে, কার দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে, এটা বলতে পারবো না।
তবে ব্যবসায়ী ইসমাইল কবিরাজ, তছির বেপারী, ডাক্তার বাশার,কালু,সোহাগ কোম্পানি, আক্তার,জাহাঙ্গীর খলিফা,মোক্তার,রিপন,আমির এর ক্ষতিগ্রস্ত সব চেয়ে বেশি বলে জানা গেছে।
এদিকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান, ও ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন, ডিবি পুলিশের ওসি শহিদুল ইসলাম।
ভোলা ফায়ারসার্ভিস এর উপ পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, আমরা ৫টি ইউনিট এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন করেছি।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, প্রায় ২০টির মত দোকান পুড়ে গেছে তবে কি ভাবে এর সূত্রপাত ঘটেছে এখনো জানা যায়নি। এ দিকে এ অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রনের চেষ্টায় অগ্র ভুমিকা রাখেন ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টাবল মাকসুদুর রহমান।
এখানকার ব্যাবশায়িরা বলেন পুলিশ জনগনের বন্দু কথাটি আজ আমাদের প্রমান করে দিলেন পুলিশ সদস্য মাকসুদ। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দর্শকদের ভূমিকায় ছিলেন হাজারো লোক, কেউ ভিডিও করায় ব্যাস্ত,কেউবা ফেজবুক লাইভে আবার কেউ ছবি তুলতে ব্যাস্ত থাকলেও পুলিশ সদস্য মাকসুদ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগুনের লেলিহান শিখার দাহ তাপকে উপেক্ষাকরে উচুতম টিনের চালে উঠে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেন।আমরা তার এহেন কৃতকর্মের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি
শফিক খান ।