সরকারি ভবন নির্মানে ষ্টিল সাটার এর পরিবর্তে কাঠের সাটার ব্যবহার-আপেল চাকলাদার

আলফাডাঙ্গা উপজেলাতে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মানে ষ্টিল সাটারের পরিবর্তে কাঠের সাটার ব্যবহারের এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ও ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ১ এপ্রিল ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নে জাটিগ্রাম মমতাজউদ্দীন মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩,২২,৮৪,১০৩.৩৩৯ টাকা ব্যয়ে মোঃ রেজাউল ফকির জেভি নগরকান্দা, ফরিদপুর, ঠিকাদারের লোকজন কাঠের সেন্টারিং এর কাজ করতে দেখা গেছে।
এলাকাবাসী প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ষ্টিল ব্যবহার সিডিউলে আছে। তা না করে কাঠের সেন্টারিং ব্যবহার করছে। কাঠ ব্যবহারে সিমেন্ট পানি বের হয়ে যায়। ভাইব্রেশন মেশিন ব্যবহার করা যায় না, তার ফলে ভাল মানের কাজ পাওয়া সম্ভব নয়। আমরা ষ্টিলের ব্যবহার চাই।
এদিকে নামপ্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক ম্যানেজিং কমিটির লোক বলেন, অভিযোগ পেয়ে কাজ বন্ধ করা হয়েছিল। সিডিউলে ষ্টিল সেন্টারিং উল্লেখ আছে। আবার ঠিকাদার কাঠের সাটার ব্যবহারের আদেশ কপি দেখাচ্ছে তবে ষ্টিল সাটারের কাজ ভাল হয়।
কাঠের দিয়ে কাজ করলে সিমেন্ট পানি বের হবে, কোন ভাবে ঠেকানো সম্ভব নেয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক রেজাউল ফকির বলেন কাঠ ব্যবহারে বাঁধা দেওয়ায় কাজ বন্ধ ছিল, ঢাকা থেকে কাঠের ব্যবহারের অনুমতি পত্র এনেছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা প্রনব পান্ডে বলেন, প্রকল্প অফিস থেকে অনুমতি পত্র এনেছে। সোমবারে অফিসে আসেন বিস্তারিত আলাপ করব।
প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোঃ তাসারফ হোসেন ফরাজি বলেন সিডিউলে ষ্টিলের ব্যবহার উল্লেখ আছে কিন্তু দূর্গম এলাকায় ষ্টিল পাওয়া না গেলে বিকল্প হিসাবে কাঠের ব্যবহার করতে পারে। তবে কাঠ ব্যবহার করলে ১০% বিল কেটে দেওয়া হবে।সিমেন্ট বালু মিশানো পানি বের হলে কাজ বন্ধ করা হবে।
আপেল চাকলাদার,আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি
দৈনিক ভোরের বার্তা